মোদী জামানায় দৈনিক অন্তত ১০০ কোটি টাকা জালিয়াতি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে, আরবিআই রিপোর্টে প্রকাশ

0
95

নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে প্রকাশ নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে গত সাত বছরে দৈনিক অন্তত ১০০ কোটি টাকা জালিয়াতির শিকার হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। নীরব মোদী-মেহুল চোক্সির ব্যাঙ্ক প্রতারণায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা খুইয়েছিল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। এর আগে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা দেনা বাকি রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বিজয় মালিয়া। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে এর পরেও আটকানো যায়নি একাধিক ব্যাঙ্ক জালিয়াতি।

rbi | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

আরবিআই-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত সাত বছরে ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনায় শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এরপরে স্থানে রয়েছে দিল্লি, তেলঙ্গানা, গুজরাত এবং তামিলনাড়ু। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি মোট আড়াই লক্ষ কোটি টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছে। তার ৮৩ শতাংশই ঘটেছে ওই পাঁচটি রাজ্যে, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। আরবিআই-এর রিপোর্টে দাবি, এই ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনাগুলির কারণ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ঋণ দেওয়া।

আরও পড়ুনঃ দেশের রাষ্ট্রপতির ফেসবুক পেজের ছবিতে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন প্রয়াত কল্যাণ সিং! এ কেমন ভুল!

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দাবি, গত দু’বছরে সারা দেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ব্যাঙ্কিং ব্যবসা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এর অন্যতম কারণ হল অতিমারি পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিল্পে ব্যবসা কমেছে ফলে ঋণ নেওয়ার হারও কমেছে। তবে আটকানো যায়নি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে গড়ে দৈনিক ১০০ কোটি টাকার পুঁজি হাতছাড়া হওয়া। ব্যাঙ্কিং ব্যবসায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’। ব্যাঙ্ক ঋণ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি শিল্প এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে জামানত ছাড়াই বিপুল অঙ্কের ঋণের আবেদন মঞ্জুর করেছে, তারই ফল ফলছে আজ।

আরও পড়ুনঃ ‘সুল্লি ডিল’ অ্যাপ নির্মাতা ওমকারেশ্বর ঠাকুরের জামিন দিল্লির আদালতে, জামিন ‘বুল্লি বাই’ নির্মাতা বিশ্নোই-এরও

ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনাগুলিকে মোট আটটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছে আরবিআই। তহবিলের অপব্যবহার এবং বিশ্বাস লঙ্ঘন, জাল নথিপত্রের মাধ্যমে প্রতারণা, তথ্যে কারসাজির মাধ্যমে বেআইনি ভাবে সম্পত্তির রূপান্তর, নিয়ম ভেঙে ঋণের সুবিধা পাওয়া, অবহেলা এবং নগদ ঘাটতি, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, বিদেশি মুদ্রার লেনদেনে অনিয়ম এবং অন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here