সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
২০২০-র গঙ্গাসাগর মেলায় পরিবার নিয়ে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিতে এসে এক ভারতীয় সেনা এবং এক কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীর মধ্যে কলহকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মেলায়। তবে কলহের তীব্রতা এতই বাড়ে যে ঘটনা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে গিয়ে ঠেকে।
সূত্রের খবর, মেলার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন পুলিশি নিগ্রহের স্বীকার হন ওই ভারতীয় সেনা। তবে উনিও পাল্টা হাত চালান পুলিশ কর্মীর দিকে। ঘটনার চাঞ্চল্য প্রকাশ পেতেই এলাকায় ভিড় বেড়ে যায় এবং জনতার জটলা গোলভাবে ঘিরে থাকে তাদের।
রুদ্রনগরের বাসিন্দা ভারতীয় সেনাকর্মী সুকমল খাঁড়ার স্ত্রী মণিদীপা খাঁড়া জানান, তাঁরা মেলার ভিতরে প্রবেশ করার সময় ওই পুলিশকর্মীর সাথে তাদের বচসা বাধে।
আরও পড়ুনঃ ষাটের কোঠায় পৌঁছানোর আগেই অভীক দত্তের জীবনাবসান
নির্দিষ্ট লাইনে যাওয়ার জন্য মেলার ভিতরে ব্যারিকেড করা ছিল। কিন্তু অনেকেই নিয়ম মেনে ব্যারিকেডের ভিতর দিয়ে ঢুকছিলেন না, সুকমল বাবু ও মণিদীপা দেবীরা মোট পাঁচজন ছিলেন। কিন্তু একে অপরের থেকে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় বাচ্চা-সহ সুকমল বাবু পিছনে পড়ে যান। ফলে বাকি চারজনের নাগাল পাওয়ার জন্য উনি পড়িমরি করে ব্যারিকেড ভেঙে অন্য লাইন দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
ঠিক এই সময়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী লাইন ভাঙার অপরাধে পিছন থেকে এসে সুকমল বাবুকে ধরলে উনি পাল্টা ওই পুলিশকর্মীকে থাপ্পড় মারেন এবং দুজনের মধ্যে বচসা বাঁধে ।
আরও পড়ুনঃ গুলি করে মারাটাই দলের স্ট্যান্ড পয়েন্ট জানালেন দিলীপ
সুকমল ও তাঁর স্ত্রী মণিদীপা জেলা আধিকারিকের কাছে এই বিষয়ে জেলা শাসকের কাছে রিপোর্ট করতে যেতে চাইলে দেবাশীষ নামের ওই পুলিশকর্মী পিছন থেকে এসে আবার কলার ধরে সুকমলের। এই ভাবে বচসা বেশ কিছুক্ষণ চলে।
পারিপার্শ্বিকের হওয়া ভিড়ে অনেকেই অবশ্য মনে করছেন ঘটনায় দুপক্ষেরই দোষ রয়েছে। একজন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে যেমন ওইভাবে থাপ্পড় মারা যায় না, ঠিক একই ভাবে লাইন ভাঙার অপরাধে কারোর গায়ে হাত তোলাও যায় না।
সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলাশাসকের কাছে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সস্ত্রীক সুকম্ল খাঁড়া। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা আধিকারিক। ঘটনায় জেলাশাসক উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস সেন ওই দম্পতিকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584