শ্যামল রায়,কালনাঃ
সামনেই রাখী উৎসব।এবছর রাখী শিল্পীদের মাথায় হাত।চীনা পণ্যের দাপটে বাজারে বিক্রি হচ্ছে না দেশীয় রাখী তাই চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়ছেন রাখী শিল্পীরা এমনটাই জানা গিয়েছে মঙ্গলবার।
কালনা মহকুমার কালনা শহরে এবং কাটোয়া মহকুমার বেশ কয়েকটি জায়গায় বহু মহিলা এই রাখী তৈরীর কাজে ব্যস্ত থাকেন এবছর রাখী বিক্রি না হওয়াতে মালিকদের সাথে শ্রমিকরাও সংকটের মধ্যে পড়েছেন।
রাখী তৈরি করা পরিবারের সদস্যরাও উদ্বিঘ্ন বাজারে চায়না রাখীর রমরমা কারবার দেশীয় রাখীর কদর কমে গেছে অনেকটাই তাই ব্যবসায় ভাটা পড়েছে দেশীয় রাখীর।
জানা গিয়েছে যে শব্দ ও লাইট দেওয়া যায় না রাখি মানুষের বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এই রাখি শিশুদের কাছেও খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আর দেশীয় রাখীতে এই ধরনের আকর্ষণ করার মতো কোনো সাজ-সরঞ্জাম না থাকায় বিক্রি হচ্ছে না বেশি রাখে ফলে আগের থেকে অনেকটা কমে গিয়েছে বিক্রি দেশীয় রাখীর।
আগে কলকাতার বড় বাজার থেকে এখানকার শিল্পীরা বরাত পেতেন বর্তমানে সেই বলাটা অনেকটাই কমে যাওয়ায় আরো সংকটের মুখে পড়েছেন রাখি শিল্পীরা।
আরও পড়ুনঃ রাখির বাজারে মোদিকে পিছনে ফেলে হিট দিদি
মালিকপক্ষ দের অভিযোগ জি এস টি এবং নোট বন্দির প্রভাব থাকায় তাদের রাখী শিল্পের উপর ও অনেকটা প্রভাব পড়েছে তাই অনেকটাই রাখি শিল্পীর বিক্রি কমে যাওয়ায় তাদের সাথে যুক্ত শ্রমিকরাও আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছেন।
এছাড়াও রাখী তৈরীর পর মার্কেটে ডেলিভারি করার সময় সম্পূর্ণ অর্থ মহাজনরা দিতে চায় না তারা সারা বছর ধরে অল্প অল্প করে টাকা দেওয়ার কারণে লাভের অংশ কার্যত চোখে দেখা যায় না তাই আস্তে আস্তে এই শিল্প থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন মালিক পক্ষের লোক জনেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে বহু বছর আগে থেকে এখানে রাখী তৈরীর কাজ চলছে এখন
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে বহু বছর আগে থেকে এখানে রাখি তৈরীর কাজ চলছে এখন অনেকটাই এই পেশা ছেড়ে ভিনদেশে পাড়ি দিচ্ছেন অনেক শ্রমিক তাই রাখী শিল্পীর কদর অনেকটাই কমে গিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, “আমরা সারা বছর জামা কাপড় তৈরি করার কাজ করি সেই কাজে মাল বের হয় তা থেকে আমরা রাখি তৈরি করি তবে কিছু কাঁচামাল আমাদের কিনতে হয় তার দাম এখন বেড়েছে বহুগুণ সেই অর্থে রাখীর দাম বাড়েনি তাই এক কথায় লাভের হার খুবই কম লোকসানের দিকেই পড়ে যেতে হচ্ছে আমাদের।
বেশি হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যবসা চালাতে এর উপর বাজারে চায়না রাখীর কদর বেড়ে যাওয়ায় আমরা চরম সংকটের মধ্যে পড়ে গিয়েছি তাই রাখী বিক্রি কমে গিয়েছে।”
শেফালী বনিক, রুমা দাস, চৈতালি বিশ্বাস প্রমুখ শিল্পীরা জানিয়েছেন যে, “আগে পুজো আসার আগে থেকেই বা রাখী উৎসব শুরুর আগে থেকেই রাত দিন সমান করে কাজ করতাম, বর্তমানে রাখীর চাহিদা কমে যায় আমাদের মনেও দুঃখ বিরাজ করেছে মুখে হাসি নেই কারণ সামনেই পুজো ছেলেমেয়েদের নতুন জামা-কাপড় কিনতে হবে এখন চিন্তা করছি কিভাবে ছেলে মেয়েদের মুখে হাসি ফোটাবো এই দুঃখ নিয়ে কি কেটে যাবে দুর্গাপুজোর অনেকটা সময়।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584