৬২ যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ ইন্দোনেশিয়ার বিমান!

0
64

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

৬২ জন যাত্রী নিয়ে জাকার্তা থেকে উড়ান শুরুর পর নিখোঁজ ইন্দোনেশিয়ার বিমান। পরিবহন মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুপর ১টা ৫৬ মিনিট নাগাদ উড়ান শুরু করে ২টা ৪০ মিনিট থেকে নিখোঁজ বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি।

Indonesia flight missing | newsfront.co

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ৫৯ জন যাত্রী ও ৬জন ক্রু মেম্বারদের নিয়ে এসজেওয়াই-১৮২ নামে শ্রীউইজায়া এয়ার ফ্লাইটের ওই যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি পন্টিয়ানাকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আধিকারিকরা কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কথা উল্লেখ না করলেও সূত্রের খবর, যোগাযোগ ছিন্ন হওয়ার আগে ৬০ সেকেণ্ডের মধ্যে ৩ হাজার ফুট নিচে নেমে যায়। বিমানে যাত্রীদের মধ্যে ৬ জন শিশুও আছে বলে জানা গেছে।

সরকারিভাবে এখনও বিমানসংস্থা কিছু জানায়নি। এখনও পর্যন্ত সংস্থা জানিয়েছে, আপাতত বিমানটিকে খোঁজার চেষ্টা চলছে। সব তথ্য পাওয়ার পরই এই নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হবে। ইন্দোনেশিয়া সরকার অবশ্য ইতিমধ্যে বিমানটিকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পরিবহণ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, ‘‘গোটা বিষয়টির তদন্ত চলছে। বিমানটিকে খোঁজা হচ্ছে। সমস্ত দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে।“

এই ঘটনায় ফিরে এসেছে ২০১৪ সালের ৮ মার্চ মালয়েশিয়ায় নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এমএইচ- ৩৭০ বিমানের স্মৃতি। কুয়ালালামপুর থেকে বেজিংয়ের দিকে রওনা হয়েছিল এমএইচ-৩৭০ বিমানটি। নির্ধারিত পথে কিছুক্ষণ ওড়ার পর ‘এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল’-এর (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানের। কিছুক্ষণ পর মালয়েশিয়ার সামরিক রাডারে ধরা পড়ে, সম্পূর্ণ উলটো পথে উড়ছে এমএইচ-৩৭০।

তারপর থেকেই চিরতরে হারিয়ে যায় অভিশপ্ত প্লেনটি। অত্যাধুনিক রাডার, স্যাটেলাইটের শ্যেনদৃষ্টি সত্ত্বেও মাঝ আকাশে হারিয়ে গিয়েছিল সেটি। সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন বিমানের ২৩৯ জন যাত্রী ও চালকদল। এরপর বেশ কয়েকবছর ধরে দক্ষিণ চিন সাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও বিমানটির কোনও সন্ধান মেলেনি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here