শ্যামল রায়,মঙ্গলকোটঃ
বাংলার আবাস যোজনা ঘরের টাকা বিতরণ করা হলেও ঘর শুরু করেনি অধিকাংশ উপভোক্তারা। তাই প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা যথেষ্ট তৎপর এবং উদ্যোগ গ্রহণ করায় একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির হলঘরে।
শনিবার এই বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক অধিকর্তা এবং পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত দফতরের কর্মদক্ষ মুন্সী রেজাউল হক মেহবুব চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা।
মুন্সী রেজাউল হক জানিয়েছেন যে ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বাংলার আবাস যোজনা ঘর প্রাপকের সংখ্যা প্রায় নয় হাজার জন।
অভিযোগ যে অধিকাংশ উপভোক্তা ঘর তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা নিলেও ঘর তৈরি করেনি।
যাতে উপভোক্তারা দ্রুত ঘরের কাজ শুরু করেন তাই নিয়ে একটি পর্যালোচনামূলক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল পঞ্চায়েত সমিতির ঘরে।
তবে এদিনের সভায় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত দফতরের বিদায়ী কর্মদক্ষ সিরাজুল হক জানিয়ে দিয়েছেন যে আগামী এক মাসের মধ্যে আবাস যোজনার ঘর তৈরি কাজ কোন উপভোক্তা যদি শুরু না করেন তাহলে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে অথবা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে। তারা জানিয়ে দিয়েছেন সরকারি টাকা কোনভাবেই অপচয় বা আত্মসাৎ করা যাবেনা।
মুন্সী রেজাউল হক আরো জানিয়েছেন যে, এদিনের সভাতে ব্লকের ভাল্যগ্রাম মাঝিগ্রাম কৈচর শিমুলিয়া২ চাণক্য গতিষঠা প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন উপভোক্তা উপস্থিত হয়েছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা।তিনি আরো জানিয়েছেন, আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরীব মানুষের জন্য বাংলার আবাস যোজনা নামক প্রকল্প চালু করেছেন এমনকি এক দিনে পাঁচ লক্ষ বাংলার আবাস যোজনার ঘর প্রাপকদের মধ্যে সাশংসাপত্র তুলে দিয়েছিলেন। যে সমস্ত গরীব মানুষ তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করেন আর্থিক কারনে ঘর তৈরি করতে পারেন না তাদেরকে সরকারি আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার কাজ আমরা শুরু করি এবং প্রথম কিস্তি টাকাও আমরা দিয়ে দিয়েছি কিন্তু যারা ঘর তৈরি এখনো শুরু করেনি তাদের কাছে আবেদন এক মাসের মধ্যে ঘরের কাজ শেষ করতে হবে এমনটাই কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ত দফতরের বিদায় কর্মদক্ষ মুন্সি রেজাউল হক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584