জেলাজুড়ে ভোটের নামে প্রহসন, বোমাবাজিতে আহত ৪

0
69

বুনিয়াদপুর,দক্ষিন দিনাজপুরঃ সারা রাজ্যের সাথে আজ ১৪ মে একদফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছে। জেলার প্রায় সবজায়গায় শান্তিপূর্ন ভোট হলেও বেশ কিছু জায়গায় ভোটের নামে প্রহসন চলছেসব অভিযোগের তির শাসক দলে বিরুদ্ধে তবে এবিষয়ে মাথাব্যথা নেই শাসক দলের কর্মী সমর্থক সহ নেতাদের তাদের দাবি শান্তিপূর্ন ও নির্বগ্নে ভোট পর্ব চলছে অভিযোগের দোষ পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও তার কোন প্রভাব ভোট বাক্সে পড়বেনা বলে জানান শাসক দলের একাংশ। এদিন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর বংশীহারী ব্লকের ডিটল হাট এলাকায় ৩০/২ বুথে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলট বক্স গায়েব করল দুষ্কৃতীরা।
এমনকি বোমাবাজি করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ভোটারদের ও বিরোধীদের বোমের আওয়াজে তটস্থ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫১নং বুথ এলাকা। সকাল থেকে এই এলাকায় দফায় দফায় চলে বোমাবাজি। বোমের আওয়াজে ভীত হয়ে এই এলাকার সাধারণ মানুষরা ছোটাছুটি করতে থাকে। বালতি ভরা বোম নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়ানোর ছবি সংবাদমাধ্যমকেও তুলতে যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়।
এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার গুড়াইল এলাকায় বোমা ফেটে আহত একাধিক। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয়রা জখমদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে তপন ও পরে বালুরঘাট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতরা তৃণমূল কর্মী সমর্থক। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত তা পরিষ্কার নয় আক্রান্তদের কাছে।

তবে সূত্রের খবর, আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় বোম মজুত করছিল। সেই সময় অসাবধান বশত তা ফেটে যায়। আর বোম ফেটে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে তপন থানার পুলিশ ও কম ব্যাট ফোর্স। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে এলাকায় বসেছিলেন জখম তৃণমূল কর্মীরা। হঠাৎ বোম ফেটে যায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক আহত হয়। আহতদের মধ্যে মিজানুর মোল্লা, বাপ্পা সরকার, সাইদুল ইসলাম, সইদুর সরকার। আহতদের প্রথমে তপন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালে। বাকি আহতদের চিকিৎসা চলছে। বোমার আঘাত মূলত শরীরের নিচের অংশে লেগেছে।

এদিকে বোমা ফাটার ঘটনায় কে বা কারা যুক্ত তা নিয়ে ধন্দে আক্রান্তকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে তপন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যায় কম ব্যাট ফোর্স। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও বোমা মজুত বা তৈরি করার কথা অস্বীকার করেছে ততৃণমূল।

এবিষয়ে আক্রান্ত মিজানুর মোল্লা জানান, তারা বসেছিলেন। সেই সময়ই বোমা মারা হয় তাদের লক্ষ্য করে। তবে কারা মারে তা তারা জানেন না। বোমা ফেটে যাওয়ায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসে এলাকাবাসীরা। অন্যদিকে এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য করা হয়নি। পাশাপাশি জেলার তপন ব্লকের বজরাপুকুর এলাকার ১৪২ নং বজরাপুকুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ভোটবাক্স পুকুরে ফেলে দিল দুষ্কৃতিরা। এই সংসদের তৃণমূল প্রার্থী পূর্ণিমা সরকার( বর্মণ)-এর অভিযোগ এই এলাকার আর.এস.পি প্রার্থী নমিতা মন্ডল(বর্মণ) দলবল নিয়ে বুথে ঢুকে তৃণমূলের প্রার্থীকে মারধোর করে ভোটবাক্সগুলিকে বুথের পাশে একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে। ঘটনায় অসহায় হয়ে বুথের নিরাপত্তায় থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ার্স নীরব দর্শকমাত্র।

ভোটবাক্স জলে ফেলে দেওয়ায় বজরাপুকুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বুথে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ। এরপরে ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী বুথে পৌছায় এবং পুলিশ গ্রামবাসীদের সহায়তায় ভোটবাক্সগুলি পুকুর থেকে তুলে এনে বুথে নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পর ঐ বুথে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কে বজরাপুকুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্র বুথের প্রিসাইডিং অফিসার বিবেকানন্দ রায় সহ অন্যান্য ভোটকর্মীরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here