কার্ত্তিক গুহ,ঝাড়গ্রামঃ
তৃনমূলের এমপিদের দাঁড়করানো হয়েছে লোকের সার্ভিস দেবার জন্য নয় দিদিমনিকে তুষ্ট করার জন্য ঝাড়গ্রামে দলীয় পার্টি অফিসে এসে এমনই মন্তব্য করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।তিনি আরও বলেন যে সেই কারনে লোক বাসুদেব আচারিয়াকে পেলেও মুনমুন সেনকে পায়না এটাই বাস্তব।মেদিনীপুরে প্রবোধ পান্ডাকে পায় সন্ধ্যা রায়কে না পাওযার গল্প আছে,ঝাড়গ্রাম ও ঘাটালের ক্ষেত্রেও তাই।সুজন চক্রবর্তী জানান,”আমি আশা করছি না এনারা মানুষের কাছে কি নিয়ে যাবেন ওরা যাবার মত কিছু নেই যে যাবে তাই পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এখন আবার ভোট এসে গেছে বলে ঘুরঘুর করছে।ঐ জন্যই বলছি ভোট যদি ঠিক মত হয় তৃণমূল খড়কুঠোর মত উড়ে যাবে,কারন মানুষকে ভরসা বামপন্থীরাই দেবে ২০২১ এর ভোট টা উনি এখন থেকে ভাবতে থাকুন,না হলে ওনার পরিত্রান নেয় ।”
২০১৯ তো এই রাজ্যের ভোট নয়,নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বলেন যে ২০২১ ওনাকে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে হবে।তিনি আরো বলেন জঙ্গল মহল কেমন আছে উনি উনার স্নেহের কন্যাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন যিনি ওনাকে মা ডেকে কৃতাত্ব হয়েছিলেন,নাম না করে ভারতী ঘোষ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে একসঙ্গে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন বর্ষীয়ান সি পি এম নেতা সুজন চক্রবর্তী।জঙ্গলমহল যখন হাঁসছে তখন পুলিশ দিয়ে সমস্ত কিছু মেনটেন করা হচ্ছে এবং সফরের সময় পুলিশ দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে কেন?এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন যে তেনারা নির্দেশ দিয়েছিলেন মুড়ে দিতে হবে তখন কন্যাসমা মুড়ে দিতেন এখনও আবার সেই অভ্যাসটা কারুর কারুর আছে ,কিন্তু আমি বলব বেশি মা মা না করায় ভাল।কিষেনজী ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন কিষেনজীর পরিনতি ভাল হয়নি কন্যা খুব মা মা করেছিলেন তার পরিনতি খুব ভাল হয়নি কিন্তু কেও যদি বেশী ঘনিষ্ট হতে চান তাহলে তাকে ভেবে চিন্তে এগোতে হবে।যেন
পাছে না বিপদে পড়ে।তিনি বলেন “দেশ বাঁচাতে পারে একমাত্র বাম,বাংলা বাঁচাতে পারে একমাত্র বাম।জঙ্গলমহল সেই জঙ্গলমহলের রাস্তা নেই,ঘাট নেই,জল নেই,বিদ্যুত নেই,খাবার নেই,সেই জঙ্গলমহলকে জঙ্গলমহল হিসেবে চিনিয়েছে জীবিকা,লেখাপড়া সহ গ্রাম বিদ্যুত পৌছে দেওয়া সহ বদলেছে পজেটিভ বাম। সেটাকে বারোটা বাজানোর বন্দোবস্ত করছে তৃনমূল তাই দেখে রাগ করা তৃনমূলের সঙ্গে আসা বাহিনী বিজেপি ঘুরছে কিনা তৃনমুল নেত্রী হিসেব করে দেখুক।দুজনকে আমাদের একসাথে লড়তে হবে।রাজনৈতিক সভা যে কেউ করতে পারুক এরকম পরিবেশ থাকা উচিত কিন্তু রথযাত্রা অর্থাৎ রাজনীতির নামে সাম্প্রদায়ীকতা সেটা সমর্থন করা যায় না।”
উনি রথযাত্রায় আপত্তি করেননি কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আপত্তি করেছেন সেটা ঠিক নয়।বামফ্রন্ট যখন ছিল তখন তৃনমূল যখন যেমন মিটিং করতে চেয়েছে কোনদিন আটকায়নি।এটা যেন মনে থাকে যে শাসকদল ও বিরোধীদলও প্রশাসনের কাছে সেই অনুযায়ী ডিশ্রিমেট করার কথা নয় যদি ডিশ্রিমেট করে তবে তার পতন অনিবার্য।
আরও পড়ুনঃ কেশিয়ারি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় বনধ ডাকল বিজেপি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584