পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
বাড়ির ভিতরেই একফালি জায়গায় একটা উঁচু ঢিবির মতো নির্মাণ।সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো সেই ঢিবি দেখেই সন্দেহ হয়েছিল এলাকাবাসীর। শেষে জেরার মুখে গৃহকত্রী স্বীকার করেন সেটা তাঁর মায়ের সমাধি।বাড়ির ভিতরেই মা’কে সমাহিত করেছেন তিনি।

সিউড়ির চাঁদনীপাড়া এলাকায় এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।হিন্দু বাড়িতে দাহ না করে সমাহিত করার প্রক্রিয়ায় ব্যঙ্গ, বিদ্রুপও করছেন অনেকে।বাড়ির বাসিন্দা লক্ষ্মীপিয়া দাসের মানসিক স্থিতি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৯ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় লক্ষ্মীপিয়ার মা নারায়ণী দেবীর।বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।লক্ষ্মীপিয়ার কথায়,বাড়িতে তাঁরা তিন সদস্য ছিলেন।তিনি, তাঁর মা ও এক দাদা।অভাবের সংসার। কোনরকমে দিন চলে।নারায়ণী দেবী সরকারি কর্মচারী ছিলেন। তাঁর পেনশনেই সংসার চলত তাঁদের।দাদা সেবাপ্রিয় মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁরও চিকিৎসা চলছে।লক্ষ্মীপিয়ার দাবি, মায়ের মৃত্যু পর কারো সহযোগিতা না পেয়ে বাড়িতে নারায়ণী দেবীকে সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নেন। একজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে ৫০০ টাকায় রাজি করান তাঁকে।বাড়ির ঠিক পিছনে গর্ত খুঁড়ে মা’কে সমাহিত করেন তিনি।নারায়ণী দেবীর মৃত্যু ঠিক কী ভাবে হয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনও ডাক্তারি নথিও নেই তাঁদের কাছে।
বাড়ির মধ্যেই এমন সমাধি তৈরি হয়েছে তা নাকি ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, গত ৭ ডিসেম্বর মা’কে সঙ্গে নিয়ে পেনশন তুলেছিলেন তিনি।এর পর মায়ের মৃত্যু খবর গোপন করে গিয়ে পেনশন তোলার প্রক্রিয়া চালু রাখার উদ্দেশ্য থাকতে পারে লক্ষ্মীপিয়ার।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত নানুর
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584