আনিসুর রহমান, কলকাতা,৩০অক্টোবর:
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যোগ্য মেধাসম্পন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ- এই বিষয়ে আগামী কাল ৩১/১০/১৭ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে কলকাতা আ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এর সভা গৃহে।উদ্যোক্তা-বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম। রাজ্যে সরকার অনুমোদিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত ৬১৪টি মাদ্রাসাতে শেষ নিয়োগ হয়েছে শেষ ২০১৩ সালে। তবুও অসম্পূর্ন আজও ২৪ জন হতভাগ্য বিদ্যালয় পচ্ছন্দ করে কর্মে যোগদান করতে পারেনি,এমনকি সার্ভিস চলাকালিন মৃত পরিবারে ৫৯ জন প্রায় ৭বছর হন্যে হনে ঘুরেও বাবার প্রাপ্ত চাকুরি আদায় করতে সক্ষম হয়নি।কাহিনী এখানেই শেষ নয় ষষ্ঠ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন উত্তীর্ণ প্রায় ৩৭০৬ জন চাকুরি পাবার আশায় বুক বেঁধে আছে। চাকুরিরত শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের কর্মস্হল থেকে বাড়ির দূরত্ব থাকায় তারা বদলির আশায় কমিসনে আবেদন করে ২৫০০ টাকা দিয়ে পাঁচ বছর আগে।কিন্ত কোটি টাকার প্রশ্ন কে নিয়োগ দেবে,কে বা বদলি করবে?।গঙ্গার জল অনেক গড়িয়েছে,হাইকোর্টের কমিসনের অবৈধ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে ফোরাম সুপ্রিমকোর্টে হাজির হয়েছে।ফোরাম আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি গন আন্দোলন,গণ সচেনতা কাজ চালিয়ে যাচ্ছ।কিন্ত অবস্হার খুব একটা পরির্বতন হয় নি বরং অপরদিকে কমিটিগুলো সরকারি নির্দেশনামাকে অমান্য করে অবৈধ্য অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করে চলছে।সম্প্রতি এইরূপ ৪২ জন শিক্ষক নিয়োগ রাজ্যসরকার বাতিল করেছে।ফোরামের দাবি- অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে ১০% ম্যানেজমেন্ট কোটার নিয়োগের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে এবং আরও ৭০ জনের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
চার বছর নিয়োগ বন্ধ থাকায় মাদ্রাসা গুলি শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে। বর্তমানে৫০% -৭০%শিক্ষক- শূন্য মাদ্রাসা চলছে।সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ সংকীর্ণ, আত্মকেন্দ্রিক,স্বার্থপর মানসিকতা নিয়ে মাদ্রাসায় কমিটির মাধ্যমে নিয়োগে তও্ব নিয়ে বিভাজনের রাজনৈতিক খেলা শুরু করে-যে মাদ্রাসায় কেবল মাত্র মুসলিমরা চাকুরি করবে।এই উদ্ভূত পরিস্হতিতে রাজ্য সরকার নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।রাজ্য সরকারের এই গা ছাড়া মানসিকতা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।সংখ্যালঘু নেতারা রাজ্যসরকারে ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।তাদের প্রশ্ন- M.S.C নিয়ে হাইকোর্টের রায় কার্যকরী করতে এত টালবাহানা কেন? অথচ S.S.C ক্ষেত্রে বিপরীত দ্বিচারিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রাজের সংখ্যালঘু নেতারা।কয়েকদিন আগে ফোরামের কয়েকজন প্রতিনিধি সংখ্যালঘু মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে দেখা করেন।মন্ত্রী আশ্বাস ১৫ দিনের মধ্যে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে,কিন্ত বাস্তব পরিস্হতির কিছুই বদল হয়নি।এই উদ্ভূত পরিস্হিতে ফোরাম মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধিজীবীদের মতামত গ্রহনের জন্য সভা আয়োজন করেছেন।
এই প্রসঙ্গে ফোরামেরর রাজ্য সভাপতি ইসরারুল হক মন্ডল বলেন-“সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন শিক্ষানুরাগী বঙ্গবাসীর কাছে আবেদন সমাজে বৃহত্তর স্বার্থে ‘কৃত্রিম জট’ খুলতে রাজনৈতিক রং ভুলে জাতিধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আগামী কালকের আলোচনা সভায় যোগদান করে আপনার সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরুন যাতে মাদ্রাসায় মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।” তিনি এই সমস্যা সমাধানের জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদনও করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584