নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
জাতীয় শিক্ষনীতি নিয়ে কোনো পক্ষপাতিত্ব হয়নি। এতে অত্যন্ত খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার জাতীয় শিক্ষানীতিকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কোনও অংশ থেকেই জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়নি। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চ শিক্ষায় রূপান্তরমূলক পুনর্গঠন’ নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। প্রথমেই তিনি শিক্ষানীতি নিয়ে দেশ জুড়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি দেশের সকল উপাচার্যদের উদ্দেশে শুরুতেই বলেন, “গোটা দেশ জুড়ে নতুন শিক্ষানীতি একটি স্বাস্থ্যকর বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আমরা যত আলোচনা করব এবং তর্ক করব তত শিক্ষা বিভাগের উপকার হবে। অবশ্যই, এই পরিকল্পনা কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। কিন্তু আমরা সবাই মিলে এর বাস্তবায়ন করব। আপনারা প্রত্যেকে নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সরাসরি জড়িত। তাই আপনাদের দায়িত্ব অনেক”।
শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে ইউজিসি ও শিক্ষামন্ত্রকের ফেসবুক এবং টুইটার হ্যান্ডলের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় মোদীর ভাষণ। ভার্চুয়াল সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক ও ইসরো প্রাক্তন প্রধান কাস্তুরিরঞ্জন।
আরও পড়ুনঃ রঞ্জন গগৈ আক্রান্ত বলে প্রচারিত সংবাদ ভ্রান্ত
প্রসঙ্গত, নতুন শিক্ষানীতি গঠনের নেপথ্যে থাকা কমিটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে প্রাক্তন সরকারকে কটাক্ষও করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের প্রশিক্ষনে জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে শিক্ষকরা নিজেদের ক্রমশ আপডেট করতে পারে। এবার নতুন শিক্ষানীতি দিশা দেখাবে ২১ শতককে”।
আরও পড়ুনঃ দেশের নতুন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) হলেন গিরিশ চন্দ্র মুর্মু
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এতদিন পর্যন্ত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য ছিল কী চিন্তা করা হবে তা শেখানো। কিন্তু, নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী কীভাবে চিন্তা করতে হবে তা শেখানো হবে। আজকের দিনে আমাদের কাছে তথ্য ও বিষয়ের কোনও অভাব নেই। তাই জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করার সময় শিশুদের শেখানোর জন্য তথ্য, আবিষ্কার ও বিশ্লেষণ ভিত্তিক উপায়গুলির উপর জোর দেওয়া হয়েছে”।
তিনি জানিয়েছেন শ্রমিক, চাষীদের পরিশ্রম সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি হবে নয়া রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতিতে। তাদের কাজকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রতিভা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের চেষ্টা করা হয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে। উচ্চশিক্ষার সংস্কার নিয়ে বক্তব্য পেশ করার সময় এপিজে আব্দুল কালাম ও রবীন্দ্রনাথকেও স্মরণ করেন মোদী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584