সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
যেরকম ঠান্ডা পড়ার কথা ছিল তা পড়েনি। ফলে নলেন গুড় প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ীরা যে আশা নিয়ে নভেম্বরের শুরুর থেকেই নলেন গুড় তৈরি করতে শুরু করেছিলেন তাতে ভাটা পড়ছিল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঠাণ্ডা না পড়ার ফলে নলেন গুড়ের বাজার ঠিকঠাকভাবে খুলছিল না। কিন্তু গত দুদিন ধরে আবহাওয়ার সামান্যতম পরিবর্তনে ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ছে। আর তাতেই ধীরে ধীরে চাহিদাও বাড়ছে নলেন গুড়ের।
আউসগ্রামের গুড় প্রস্তুতকারীরা বলেন, এই সময় সাধারণ মানুষ যেমন নলেন গুড় কেনেন তেমনি বিভিন্ন দোকানদারেরা নলেন গুড় নিয়ে যান। কারণ নলেন গুড়ের রসগোল্লা চাহিদা দোকানে থাকে।
আরও পড়ুনঃ বিদ্রোহের পরে ‘স্বচ্ছ-ভারত’ অভিযান, আবর্জনা পরিস্কারে রাস্তায় জামিয়া শিক্ষার্থীরা
কিন্তু ঠান্ডা না পড়ার ফলে নলেন গুড় প্রস্তুত করতে কি সমস্যা হচ্ছে? এ বিষয়ে তাঁরা বলেন, সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ নলেন গুড়ের মরসুম। তাপমাত্রা কমার সঙ্গে-সঙ্গে খেজুর গাছের ‘ফ্লোয়েম’ কোষে মিষ্টত্ব বাড়ে। গাছের কোষেও বিশেষ রূপান্তর হয়।
যে জন্য রসে সুগন্ধ তৈরি হয়। একই সঙ্গে বাড়ে রসের পরিমাণ। শীত না পড়ায় গাছের সেই রূপান্তর অনেকটাই থমকে রয়েছে।
নলেন গুড় সাধারণত ১০০-১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে পাটালিও। তবে তার দাম একটু বেশি।
মুর্শিদাবাদ থেকে আসা এই মানুষগুলি জানান, এখন অব্দি সেরকম লাভ না হলেও আবহাওয়ার পরিবর্তনে তাঁরা আশার আলো দেখছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584