সিমা পুরকাইত, দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
“দিদিকে বলো কর্মসূচীর” পর এবার “বাংলার গর্ব মমতা”। প্রথম পর্যায়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় কার্যকর্তাদের নিয়ে কর্মসূচীর পর এবার সাংবাদিকদের সাথে জলযোগের মাধ্যমে সম্মেলন সারলেন। এদিন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে একরাশ আলাপচারিতা সারলেন ফলতার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি জাহাঙ্গীর খাঁন।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের নিয়ে এলাকায় গড়ে ওঠা কাজ , কাজের অগ্রগতি এবং সর্মথকদের নিয়ে সাধারন মানুষের কাজে সংযোগ স্থাপনের মত কাজের কথাও উঠে আসে এই সাংবাদিক সম্মেলনে।
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস আতঙ্কে বন্দরেও সতর্কতা, জানাল পোর্ট ট্রাস্ট
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফলতার বিধায়ক তমনাশকে ক্লিনচিট দিয়ে, দলের একনিষ্ঠ কর্মঠ সৈনিক হিসাবে নজির গড়েন ফলতা বিধানসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি জাহাঙ্গির খাঁন।
তবে বিরোধীদের বক্তব্যে জাহাঙ্গিরের কথায় আজও বাঘে হরিণ এক ঘাটে জল খাওয়ার ক্ষমতায় রাখে। আসলে নাম হলেও মানুষটির রাজৈনতিক জীবন আলাদা । ফলতায় একরাশ দলের কাজে ভালো শিরোপা পাওয়ায়, তাকে বজবজের দায়িত্ব দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুনঃ করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজে সচেতনতা শিবির
ফলে ২১শের বিধানসভা নির্বাচনকে যে পাখির চোখ করে জেলার দুটি বিধানসভা দলের মাস্টার মাইণ্ড রূপে কাজ করছেন জাহাঙ্গির বাবু। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের দলের যে অবস্থা তাতে মানুষের মধ্যে অনেকটাই জায়গা করে নেন তিনি ।
এদিন জাহাঙ্গির বাবু বলেন, “উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই পথ চলা। কয়েকদিন পরই পুরসভা নির্বাচন।” বিধানসভার আগে অ্যাসিড টেস্টে নামচ্ছেন জাহাঙ্গির খাঁন ।
তিনটি পুরসভার দায়িত্ব,দল দিতে চাইলেও দুটির দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ডায়মণ্ড হারবার , বজবজ দুটিই পুরসভা লোকসভায় খুব একটা ভালো জায়গায় ছিল না । তারমধ্যে রয়েছে কলহ।
সেগুলি সামনে অনেকটা এগিয়েছেন দলের এই অন্যতম কারিগর । এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। তৃণমূল কংগ্রেস দলের কতটা কার্যকরী হয় জাহাঙ্গির বাবুর হাত ধরে ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584