সজীবুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গীর এক টোটো চালক পিয়ারুল শেখ, আজ তাঁর নাম জলঙ্গীর সকলের মুখে ঘুরছে। রোজকার মত সেদিনও টোটো নিয়ে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু ঘটনাচক্রে দিনটা অন্য দিনের থেকে একটু আলাদাই হয়ে গেল।
বহরমপুরের শেখ পাড়ায় একটি মোটর বাইক কিনতে গিয়েছিলেন এক ভদ্রলোক, সাথে তাঁর এক বন্ধু। বাইকটি আগে থেকে দেখাই ছিল কাজেই সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়েই বেরিয়েছিলেন তিনি। তবে যার কাছ থেকে বাইক কিনতে যান তিনি যা দাম বলেন ক্রেতা সেদিন সাথে অত টাকা নিয়ে যাননি। তাই ১০ হাজার টাকা দিয়ে গাড়িটি বায়না করেন এবং বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় যে পরের দিন গিয়ে বাকি টাকা মিটিয়ে গাড়িটি নিয়ে যাবেন তিনি। হঠাৎ জ্যাকেটের পকেট থেকে ফোন বার করতে গিয়ে দেখেন ফোন পকেটে নেই, তখনই তাঁর মনে পড়ে যে ফোন ব্যাগে রেখেছিলেন। কিন্তু ব্যাগটিই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্যগে ছিল তাঁর ৪ টি এটিএম কার্ড সহ মানি ব্যাগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও নগদ ৮৪ হাজার টাকা যা ৫০০ টাকার নোটে এবং মানি ব্যাগে নগদ ১০ হাজার টাকা। ব্যাগ হারিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তাঁর। অদিকে ব্যাগে রাখা মোবাইলটিও রাখা ছিল সাইলেন্ট মোডে। বার বার বন্ধুর ফোন থেকে নিজের মোবাইলে ফোন করতে থাকেন কিন্তু কেউ ফোন ধরেনা আবার ফোন বন্ধও করা নয়। চলতে থাকে রাস্তায় ব্যাগ খোঁজাখুঁজি পাশাপাশি ফোনে চেস্টা করা।
প্রায় আধ ঘন্টা পরে কেউ ফোন তোলেন ও জানান তিনি পেশায় একজন টোটো চালক। বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন ও ব্যাগ খুলে দেখেন তাতে রয়েছে অনেক টাকা ও কাগজ পত্র। ব্যাগের মালিক নিশ্চয় ফোন করবেন এই ভেবে অপেক্ষা করছিলেন তিনিও।
আরও পড়ুনঃ জলঙ্গি থানার নতুন ওসি হলেন সৌম্য দে
অবশেষে সব কথা বার্তা হওয়ার পর পিয়ারুল শেখ, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে হুমায়ুন কবীর তিনজনে এসে ব্যগটি তুলে দেন আসল মালিকের হাতে। ব্যাগ ফেরত পেয়ে পিয়ারুল শেখকে অন্তত মিষ্টি খাওয়ার জন্য কিছু টাকা উপহার দিতে চান ব্যাগ মালিক তাও নিলেন না ঐ টোটো চালক, বললেন, “এটাই তো স্বাভাবিক। ব্যাগটা রাস্তায় পড়েছিল আমি দেখতে পেয়ে আসল মালিককে ফিরিয়ে দিলাম।“
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584