নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
১১ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের ডেপুটি সুপারইন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ দাভিন্দর সিংহকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সন্ত্রাস দল হিজবুল মুজাহদ্দিনের দুজন সদস্যকে দিল্লি যাওয়ার পথ বাতলে দেওয়ার জন্য।
সূত্রের খবর, হিজবুলের ওই দুই সদস্যের সঙ্গে দাভিন্দরকে দেখা গিয়েছিল গাড়ি করে জম্মু-কাশ্মীর হাইওয়ে দিয়ে দিল্লির পথে যেতে। ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সন্ত্রাস বিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সী ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে তদন্ত করতে শুরু করেছে। এনআইএ-র অজিত ডোভাল প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে আলাদা করে শলা-পরামর্শ করেছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জেনারল বিজয় কুমার গত রবিবার একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন, দাভিন্দর সিংহের সাথে বাকি দুই সন্ত্রাসবাদী নাভেদ বাবা এবং আলতাফের মতোই আচরণ করা হচ্ছে। ‘আন ল্য-ফুল অ্যাক্টিভিটি প্রিভেনশন অ্যাক্ট’-এর অন্তর্ভুক্তিতে আপাতত দাভিন্দরকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জোড়া ব্ল্যাক প্যান্থারের খোঁজ বক্সায়
এনআইএ যখন জম্মু কাশ্মীর হাইওয়ের একটি গাড়ি থেকে দাভিন্দর, নাভেদ বাবা এবং আলতাফকে আটক করে, তখন আরও একজন চতুর্থ ব্যক্তি ওই গাড়িতে ছিল। তিনি ছিলেন এক আইনজীবী যাকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ
সেনাবাহিনীর ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ গণ্য করছে।
জানা গেছে, গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।পাশাপাশি যে সমস্ত জায়গায় দাভিন্দরের যাওয়া আসা ছিল, সেখান থেকেও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কালিয়াগঞ্জ ইন্টার স্কুল জোনাল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচনা
বর্তমান সরকারের শাসনকালে সেনাবাহিনীর গৌরব, সাহসিকতা এবং বলিদানকে বারবার এভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে, যেখানে দেশের সাধারণ জনগণের মনে সেনা সম্পর্কে এক নিখুঁত ধারণা আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। এই অবস্থায় দাবিন্দর সিংহের গ্রেফতার এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা দেশবাসীর মনে বসে থাকা সেনা সম্পর্কিত আদর্শবাদী ধারণাকে দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারে।
পাশাপাশি সিএএ-কালীন চাপানউতোরে গোটা দেশের একাংশ যখন সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছে, তখন সিস্টেমের খামতিগুলো আরও বেশি করে ধরা পড়ে যায় দাভিন্দরের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584