সুদীপ পাল,পূর্ব বর্ধমানঃ
সারাদিনে চলে মাত্র ছ’টি বাস আর তাতেই বিপাকে পড়ছেন খাণ্ডারী, প্রেমগঞ্জ, ভাতকুন্ডার যাত্রীরা। মানকর হাটতলা দিয়ে যে রাস্তাটি মোরবাঁধ হয়ে গুসকরা বা বোলপুর যাচ্ছে সেই রাস্তায় চলে মাত্র ছ’টি বাস। গুসকরা – রণডিহা, ভেদিয়া – বর্ধমান, গুসকরা – বুদবুদ, পানাগড় – গুসকরা এই কয়েকটি বাস চলাচল করে। প্রেমগঞ্জের বাসিন্দা জানকী সিং বলেন, এত অল্প বাসে যাতায়াত সত্যিই খুব অসুবিধার। বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় ব্যাপক ভীড় হয়। বুদবুদ থেকে এই রুটের শেষ বাস দুপুরবেলা ৩.২৫এ। এরপর বুদবুদ, মানকর থেকে আসার আর কোন বাস নেই। অথচ বুদবুদ বা মানকরের বাজারের উপর এই গ্রামগুলি নির্ভরশীল। মানকরে রেলস্টেশন আছে, বর্ধমান থেকে আসার শেষ ট্রেন মানকরে আসে ৮.৪০ এ ও দুর্গাপুর থেকে আসার রাঁচি লোকাল ৮.২০ তে। প্রেমগঞ্জ, ভাতকুন্ডা অঞ্চলের বাসিন্দারা এই ট্রেনগুলিতে মানকর এলে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যাপক সমস্যা হয়। ভাতকুন্ডার বাসিন্দা অপু কোনার বলেন, শেষ লোকালে এলে আমাদের খুব ঝক্কি পোহাতে হয়। বাস থাকে না। মারুতি বা টোটো ভাড়া করার পয়সা আমাদের অনেকরই না থাকায় দীর্ঘ এই পথে হাঁটা বা সাইকেল ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আবার ভাতকুন্ডা থেকে বুদবুদ যাওয়ার শেষ বাস বিকাল ৪টে। সুতরাং ৪ টার পর আমাদের মানকর বা বুদবুদ যেতে হলে কি ভাবে যাবো ও কি ভাবে ফিরবো দুটোই ভাবতে হয়। আমাদের খুব সুবিধা হয় যদি কয়েকটি সরকারি বাস এই রুটে চালানো হয় এবং বেসরকারি বাসের সংখ্যা যদি বাড়ে।
মানকরের বাসিন্দা দয়াময় রায় বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, বাসের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য।
প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, কোন বাস মালিক ওই রুটে বাস চালালে তার পারমিট সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা প্রশাসন করে দেবে। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস মালিক বলেন, বিকেলের পর ওই রুটে বাস চালালে যথেষ্ট যাত্রী পাওয়া যায় না।
আগে রাস্তা খারাপ ছিল বলে বাস মালিকরা অভিযোগ করতেন কিন্তু এখন তো রাস্তা ভালো আর তাছাড়া যেখানে বাসই নেই সেখানে যাত্রীর প্রশ্ন আসছে কি করে সেই প্রশ্নই তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গলসী ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। মানকর পঞ্চায়েত প্রধান কল্যাণী পাত্র রায় বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584