বেহাল শ্মশান, ক্ষুব্ধ জটেশ্বরের স্থানীয় বাসিন্দারা

0
47

নিজস্ব সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ারঃ

শ্মশানে নেই কোন পাকা নদীর ঘাট, নেই কোনও সীমানা প্রাচীর, নেই উপযুক্ত জলের ব্যবস্থাও। কয়েক বছর আগে প্রশাসনের তরফে ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর শ্মশানে একটি গভীর নলকূপ বসানো হলেও, বর্তমানে এই কলটি ও বেহাল ৷ ফলে সমস্যায় পড়ছেন শ্মশানে শবদেহ দাহকার্যে আসা মানুষ জনেরা।

burn fire | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জটেশ্বর বাজার এলাকা ছাড়াও হেদায়েত নগর, আলীনগর, হাসপাতাল পাড়া, সাহাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা শবদেহ দাহকার্যে রাত বিরেতেও জটেশ্বর শ্মশান ঘাটটি ব্যবহার করেন। যেখানে বহুদিন আগে প্রশাসনের তরফ থেকে একটি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে বেহাল ওই গভীর নলকূপটির অর্ধাংশ মাটির নিচে চাপা পড়ে রয়েছে ।

আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলে কোনো ভদ্রলোক আর থাকতে পারবে না’- খড়্গপুরে বললেন দিলীপ ঘোষ

ফলে দাহকার্যে আসা মানুষ পানীয় জল না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন । তাই শ্মশান সংলগ্ন বাড়ি কিংবা দোকান থেকেই পানীয় জল আনতে হয় তাদের। স্থানীয়রা দ্রুত ওই শ্মশান ঘাটে পানীয় জলের কল ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা পিন্টু হাজরা জানান,”জটেশ্বরের এই শ্মশানঘাট টির উপর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল। শ্মশানে শবদেহ দাহকার্যে আসা মানুষকে পানীয় জলের জন্য ছোটাছুটি করতে হয় এদিক সেদিক ।

আরও পড়ুনঃ রাজনীতি করছেন রাজ্যপাল, দাবি গৌতমের

অথচ সেখানে পানীয় জলের জন্য বসানো গভীর নলকূপ টি বেহাল হয়ে থাকলেও নজর দিচ্ছে না কেউ। তাই শ্মশানে আসা মানুষের সুবিধার্থে অবিলম্বে পানীয় জলে ব্যবস্থা করা দরকার।” এদিন স্থানীয় একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সুমন দত্ত চৌধুরী জানান, “জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে জটেশ্বর শ্মশান ঘাটে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক স্থানীয় প্রশাসন।”

এই বিষয়ে জটেশ্বর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সমরেশ পাল বলেন, “শ্মশান ঘাটের সমস্যা গুলি অতি শীঘ্রই সমাধান করা হবে। শ্মশানের সীমানা প্রাচীর, নদীতে নামার সিড়ি, চুল্লীর উপর শেড সহ জলের ট্যাংক বসিয়ে রানিং জলের ব্যবস্থা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করে দেওয়া হবে।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here