নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
বিশ্বের বড় কোম্পানিগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘অ্যামাজন’। এবার সেই অ্যামাজনেরই সিইও পদ ছাড়ছেন জেফ বেজোস। এই কোম্পানিই তাঁকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় এনেছে। মঙ্গলবার নিজেই এই পদ ছেড়ে দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। সিএনবিসি সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষের দিকেই হয়তো এই কথার বাস্তবায়ন করবেন বেজোস।
অ্যামাজনের কর্মীদের একটি চিঠি লিখে সিইও পদ থেকে নিজের সরে যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন জেফ বেজস। তিনি বলেছেন, অ্যামাজনের বেশ কিছু কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকবেন। কিন্তু এরপর নিজের সংস্থা ‘ডে ওয়ান ফান্ড’ ও ‘বেজস আর্থ ফান্ডের’ জন্য বেশি সময় দেবেন। সেইসঙ্গে মহাকাশ ও সংবাদমাধ্যমের দিকেও তার আগ্রহ আরও একটি ঝালিয়ে নিতে চান তিনি। খবরে বলা হয়েছে, অ্যামাজনের শীর্ষ পদে বসাতে পারেন অ্যান্ডি জেসিকে। তিনি এই মুহূর্তে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের দায়িত্বে রয়েছেন।
১৯৯৪ সালে ৫৭ বছরের জেফ বেজস নিজের গ্যারাজে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠা করেন। ধীরে ধীরে এত বছরে রিটেইলের দুনিয়ায় সবথেকে বড় নাম অ্যামাজন। সব ধরনের সামগ্রী ঘরে বসেই পাওয়া যায়। অবশ্য শুধু অ্যামাজন নয়, ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ সংবাদপত্র ও ‘ব্লু অরিজিন’ স্পেস ফার্মও রয়েছে তার। সেই দু’দিকেই এবার বেশি নজর দিতে বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।
আরও পড়ুনঃ নাসার শীর্ষপদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাব্যা লাল
১৯৯৭ সালে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে অ্যামাজনে যোগ দেন জ্যাসি। কোম্পানিকে বড় করার পিছনে তারও যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েই বেজস বলেছেন, ‘অ্যান্ডিকে কোম্পানির সবাই চেনে। আমি যতদিন ধরে রয়েছি প্রায় ততদিন ধরেই ও রয়েছে। আমি জানি ও খুব ভালভাবে এই দায়িত্ব সামলাবে। ওর উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই মুহূর্তে আমি মনে করি অ্যামাজনের আরও বড় হওয়ার সময় এসেছে।’
আরও পড়ুনঃ নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের মনোনয়ন
করোনা মহামারির মধ্যে বিশ্বের তাবড় কোম্পানি যেখানে টিকে থাকতে লড়াই করেছে, তখন ডানা মেলে উড়েছে বেজসের অ্যামাজন। লকডাউনের ফলে ওয়েব সিরিজের দর্শক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ৭.২ বিলিয়ন ডলার থেকে বেজসের লাভের পরিমাণ এক ধাক্কায় ১২৫.৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584