ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
হোস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বরে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ, বিশৃঙ্খলা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ঐশী ঘোষকে শোকজ। ২১ জুনের মধ্যে ঐশীর জবাব তলব করল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ।
শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে ধরে নেওয়া হবে আপনার নিজের স্বপক্ষে কিছু বলার নেই। তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
প্রশ্ন উঠছে যে, ২০১৮ সালের বিক্ষোভের অভিযোগে প্রায় তিন বছর পর নোটিস? এর কারণ কি? জেএনইউয়ের চিফ প্রক্টর বলেন, ‘হোস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওরা দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চালিয়েছে তারপর ২০২০ সালে অতিমারির প্রভাব। সেই কারণে এখন শোকজের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ সাম্প্রতিক নাগরিকত্ব আবেদন বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে CAA2019-এর কোনো সম্পর্ক নেই: কেন্দ্র
ইতিমধ্যেই শোকজের জবাব পাঠিয়েছেন জেএনইউ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের নেত্রী। সঙ্গে ফেসবুকে প্রতিবাদ করে লেখেন, “JNU-এ অতিমারি পরিস্থিতিতে অনেক প্রশাসনিক অফিস বন্ধ, স্কলারশিপ ছাড়া হচ্ছে না, প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের এখনও হোস্টেল দেওয়া হয়নি, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জলের অভাব, ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাক্সিনেশন হচ্ছে না। কিন্তু চিফ প্রক্টর-এর অফিস ছাত্র-ছাত্রীদের ভয় দেখানো ও শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অগ্রাধিকার লক্ষ্য করেছেন? যখন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ভুগছে, প্রতিদিন বৈষম্যের শিকার হতে হয়, বিশাল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, তখন জেএনইউ প্রশাসন আনন্দের সঙ্গে ছাত্র বিরোধী রাজনীতি করে যাচ্ছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584