সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন গ্রাম এবং শহর এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে গড়ে তুলতে হবে নিবিড় সম্পর্ক। ইতিমধ্যেই বিধায়করা কোন গ্রামে কখন যাবেন, কোন গ্রামে রাত কাটাবেন সেইসব নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে বর্ধমান জেলায়।
সামনের শুক্রবার থেকেই জেলার বিধায়কেরা জনসংযোগে যোগ দেবেন।বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ জানান, জেলায় ১৮টি ব্লক এবং ৫টি পুরসভা মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ৩৬১৪টি। প্রতিটি বুথে গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধিরা এ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষের জন্য জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যেসব প্রকল্প নিয়েছেন তা তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রামে রাত কাটানোর পরে জনসংযোগ সভা করা হবে।সভা শেষে দলীয় পতাকা পুঁতে দিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধিদের ইতিমধ্যেই মোবাইলে লাগানো ‘দিদিকে বলো’ স্টিকার, পাঁচটি করে গেঞ্জি দেওয়া হয়েছে।পাঁচজনের কমিটি গঠন করবেন বিধায়করা।
আরও পড়ুনঃ ‘দিদিকে বলো’ তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রার প্রস্তুতি ঝাড়গ্রামে
একজন নজর রাখবেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, অন্য দু’জন এলাকার সমস্ত বুথে নজর রাখবেন, শেষজন থাকবেন কো-অর্ডিনেটর হয়ে। পূর্ব বর্ধমানের গলসির বিধায়ক অলোক মাঝি মানকরে থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
দলের তালিকার বাইরেও সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলবেন বিধায়কেরা।
ব্যবসায়ী, চিকিৎসক শ্রেণীর মানুষদের সাথে বিধায়করা জনসংযোগ রাখবেন। শুধু তাই নয় বিরোধীদের বাড়িতে জনসংযোগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাড়ি গিয়ে জলখাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত একটি সংস্থার কর্মীরা প্রতিটি বিধানসভা ঘুরে নানা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। গবেষণামূলক সেই রিপোর্ট রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই বিধায়কদের হাতে এই তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584