‘উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছি আমরা’, নারদ মামলায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি অরিন্দম সিনহা

0
116

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

নারদ মামলার শুনানিতে একাধিক পদ্ধতিগত ত্রুটি তুলে ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলকে চিঠি লিখলেন বিচারপতি অরিন্দম সিনহা। নারদ মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বে়ঞ্চের কাছে রিট পিটিশন দায়ের করে সিবিআই।

kolkata hc | newsfront.co

এই রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে ভুল পদ্ধতিতে। বিচারপতি সিনহা সেই পদ্ধতিগত ভুল চিহ্নিত করে উল্লেখ করেন চিঠিতে। বিচারপতি সিন্‌হা চিঠিতে লিখেছেন, ‘এক্ষেত্রে আদালতের আচরণ কলকাতা হাইকোর্টের ঐতিহ্যের পরিপন্থী, উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছি আমরা’।

আরও পড়ুনঃ ভিত্তিহীন মন্তব্য করবেন না, বাকস্বাধীনতা নিয়ে টুইটারকে সতর্ক করল কেন্দ্র

বিচারপতি সিনহা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলকে লিখেছেন, আইনের ৪০৭ নম্বর ধারা উল্লেখ করে ইমেল-এর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে নারদ মামলার স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২২৮ অনুযায়ী, শুধুমাত্র সিঙ্গল বেঞ্চের কাছেই কোনও দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলার স্থানান্তরের দাবি জানানো যায়। একথা নিশ্চয় ডিভিশন বেঞ্চের অজানা নয়! তা সত্বেও, ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের আবেদন গ্রহণ করেছে।

এমনকি ওই আবেদনকে রিট পিটিশন হিসেবে গ্রহণ করাও যায় না, কারণ এতে আইনের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত কোনও কিছুই উল্লেখ করা থাকে না। বিচারপতি সিনহা আরো লিখেছেন, ‘ হয়তো বাইরে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলার কারণে সিবিআই ওই আবেদন করে কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ কিভাবে রিট পিটিশনের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করলো এবং তার শুনানি করলো? সবথেকে বড় প্রশ্ন এটাই।’

আরও পড়ুনঃ করোনায় বাবা-মা হারা শিশুদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল কেরল সরকার

বিচারপতি অরিন্দম সিনহা এর পরেও আরেকটি প্রশ্ন তুলে ধরেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে, সেটিও আরেক পদ্ধতিগত ভুল। তিনি লিখেছেন, ‘ হাইকোর্ট কীভাবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায় খারিজ করলো? মামলা স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার মধ্যে হাইকোর্ট নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কীভাবে নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করতে পারে?’

এরপরে তাঁর সবথেকে বড় প্রশ্ন সরাসরি পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে। চিঠিতে বিচারপতি সিন্‌হা লেখেন, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ডিভিশন বেঞ্চে দুই বিচারপতি সহমত না হলে মতামত নেওয়া হয় তৃতীয় কোনও বিচারপতির ।যা এই ক্ষেত্রে করা হয়নি। সরাসরি পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয় নারদ মামলা।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ল কার্যত লকডাউনের মেয়াদ , ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বিচারপতি সিন্‌হা চিঠিতে ব্যাখ্যা করেছেন, যখন একটি ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের সঙ্গে অন্য আরেকটি ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের মতানৈক্য লক্ষ করা যায়, তখন তা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর কথা ভাবা হয়। এই মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট একসঙ্গে এতগুলি পদ্ধতিগত ত্রুটি কিভাবে করলো তাতে তিনি বিস্মিত।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here