শ্যামল রায়, কালনাঃ
অনেক বছর পর এবছর পাট চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে ৷ ব্যবসায় লভ্যাংশের অংশীদার হতে পেরেছেন তারা । জোর কদমে শুরু হয়ে গেছে পাট কেনাবেচা। শনিবার জানা গেল যে এবছর পাট চাষ করতে গিয়ে বেশ কিছু ক্ষতি হলেও পাট বিক্রি করে লাভ করছেন পাট চাষিরা ৷

জানা গিয়েছে যে, পুজোর মুখে পাইকারি দরে পাট ভালো দামেই বিক্রি হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে ফড়েরা পাট কিনে বিক্রি করছেন সেলারদের কাছে। অন্যদিকে যারা পাট কিনছেন তারাও লভ্যাংশ রেখে পাট বিক্রি করতে পারছেন বড় বড় মিল-কারখানায়।তবে চাষিরা বলছেন পাটের দাম বেশি হলেও পাটের ফলন এ বছর যথেষ্ট কম হয়েছে।তবে উৎকৃষ্টমানের পাট চাষ হওয়ায় ভালো দামে চাষিরা বিক্রি করতে পারছেন ব্যবসায়ীদের কাছে।
কালনা-কাটোয়া মহকুমা জুড়ে অনেক পাট চাষ করে থাকেন চাষিরা।
আরও পড়ুনঃ করোনা টেস্টে নারাজ আন্দোলনরত কম্পিউটার শিক্ষকরা
পুজোর মুখে পাট কালনা- কাটোয়ার বিভিন্ন সেলারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ।কালনা -কাটোয়া মহকুমায় যারা পাট কেনেন,সেই সব ব্যবসায়ীরা জানালেন যে টিডি- ৪ ও টিডি -৫ পাটের দাম ৫ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা প্রতি কুইন্টাল। গতবছর এইসময় এই ধরণের পাটের দাম ছিল ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে।তাই এবছর পাট চাষিরা একটু হলেও পাটের দাম পাচ্ছেন এবং প্রতিবছর যে পাট চাষে ক্ষতি হয় এবছর কিন্তু ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি তাদের ৷
চাষিরা জানাচ্ছেন যে এবছর অধিক বৃষ্টির কারণে পাটের ফলন কম হয়েছে আর আমপান ঝড়ের কারণে পাটের ফলন কম হয়েছে ৷ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে পাটের। পাটের ফলন কম হওয়ার কারণে পাটের চাহিদা যথেষ্ট, তাই বেশী দামে পাট বিক্রি করতে পারছেন তারা ।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির মিছিল কে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা শিলিগুড়িতে
শনিবার নবদ্বীপের বড় পাট ব্যবসায়ী তুলসী সাহা বলেন যে, “এবছর পাট বিক্রি করে চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন তবে পাটের ফলন টা কম হয়েছে। একদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে ছিলেন পাট চাষিরা, অন্যদিকে অধিক বৃষ্টির কারণে পাট বৃদ্ধি পায়নি তাই পাটের ফলন কম থাকার কারণে দামের চাহিদা রয়েছে, বাজারে তাই দাম বৃদ্ধিতে চাষিরা লভ্যাংশ পাচ্ছেন।এবছর পুরোদমে পাট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে এবং আমরা পাট ব্যবসায়ীরাও হাসিমুখে চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনতে পারছি। তবে এ বছর টিডি-৪ ও টিডি – ৫ নম্বর পাট বেশি হয়েছে তাই দাম বৃদ্ধিতে চাষিরা ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গোৎসব ঢিমেতালে হলেও এবছর পুজোর কেনাকাটা করতে পারবেন পাট চাষিরা৷”
পাট চাষিরা কাটোয়া, অগ্রদ্বীপ, পাটুলি, দাঁইহাট লক্ষ্মীপুর, আটঘড়িয়া, পূর্বস্থলী, ধাত্রীগ্রাম, মন্তেশ্বর কালনার চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনে এনে বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে পাট বিক্রি করছেন। আর পাট ব্যবসায়ীরাও কলকাতায় বড় বড় পাট কারখানায় পাট বিক্রি করে নিজেরাও খুশি হচ্ছেন এমনটাই জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584