নিজস্ব প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
তখন মহেন্দ্রসিং ধোনি খড়গপুর স্টেশনের একজন সাধারণ টিকিট পরীক্ষক মাত্র।ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হয়ে ওঠার পর্বে যেমন প্রচুর মাঠ ছুঁয়ে গেছে তাঁর ব্যাট তেমনি এই যাত্রাপথে টুকরো টুকরো অবদান রেখে গেছে কত মানুষ কত ভাবে।হয়ত সফলতার শীর্ষে পৌঁছে মনে হতেই পারে এ তো নেহাতই এক সাধারণ ঘটনা মাত্র।কিন্তু সেই মানুষ গুলির স্মৃতিপট সেই টুকু স্মৃতি আঁকড়েই আহ্লাদিত হয়।এ হয়ত সফলতার জন্যই।ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি শুধু সফল নন ইতিহাস রচনার কারিগর।খড়গপুর শহরের আলভা ময়দানে একদিন তিনি প্র্যাকটিস করতেন।সেই মাঠ যেমন আজ আগামী অনেক ক্রিকেট প্লেয়ারের প্রেরণা,কিন্তু শুধু মাঠতো নয় মাঠের বাইরের কিছু মানুষ থাকে তেমনি একজন কলাবতী দেবী।আরও অনেকের মতোই তখন ধোনিও তাঁকে মা বলে ডাকতেন।ধোনি যখন খড়গপুরে থাকতেন তখন এই বৃদ্ধাই তাঁকে রান্না করে খেতে দিতেন।তার পাশাপাশি এঁটো বাসন ও ধুয়ে দিতেন এই কলাবতী দেবী।আজ রেলের এক ভাঙা ঘরে থাকেন তিনি।অল্প বয়সেই স্বামীহারা কলাবতীর এক কন্যা সেও মারা গেছে।বয়সের ভারে জীর্ণ শরীর দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীন।প্রতিবেশীদের সাহায্যেই চলে দিনাতিপাত।বার্ধক্যভাতা বা সরকারি কোন প্রকল্পের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত তিনি।এই দুঃসময়েই হয়ত মনে পড়ে ‘মা’ বলে ডাকা বিশ্ববিখ্যাত সেই ধোনিকেই।শুনেছেন বিয়ে করেছে ধোনি,পিতাও হয়েছে।কেমন দেখতে হয়েছে সে।সেটি অনুভব করার আকাঙ্ক্ষাও বুকে পোষন করেন কলাবতী।যদি একবারে আসে সে হয়ত দুর্বিষহ জীবনে একটু সাহায্য জুটবে আর মা ডাকটিও সার্থকতা পাবে এই আশায় দিন গুনছে কলাবতী।
আরও পড়ুন: চাল মিলের বয়লার খুলে প্রতিবেশীর বাড়িতে,নিহত এক
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584