শিব শঙ্কর চ্যাটার্জ্জী,দক্ষিন দিনাজপুরঃ
দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হিলির বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভৈরব তলার মা কালি।প্রচলিত ভৈরবী মা বোলে। আনুমানিক দুই শতাধিক বছর পুরোনো এই পুজো।পুজোটি চলে সম্পুর্ণ তান্ত্রিক মতে।জাগ্রত এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল মাছ সহযোগে পাঠার মাংস,চানাচুর ভাজা সহ আট ভাজা সহ যোগে পুজোর হয়।সঙ্গে এখানে বলির প্রচলন আছে।বলির পর সেই বলির মাংস দিয়েই মাকে নিবেদন করা হয়।
ভৈরব মানে শিবকে বোঝায় আর তার নাম অনুসারেই স্থানটির নাম ভৈরব তলা কিন্তু এই পুজোয় মা কালিকে প্রাধান্য দিয়ে কালি পুজোতে মায়ের পুজো হয় এবং পর দিন সকালে এখানে শিবের উপাসনা করা হয়। অতীতে হিন্দু মুসলমান মিলে এই পূজা করা হত যমুনা নদীর পাড়ে কিন্তু দেশ ভাগের পরে মায়ের মন্দিরটি ভারতের মধ্য পড়ে যাওয়ায় সীমান্ত ঘেঁষা এই পুজো এইখানেই করে আসছেন এপারের মানুষজনরা।এক সময় এই পুজো করতেন জেলার এক বিশিষ্ট তান্ত্রিক দূর্গা চ্যাটার্জ্জী এরপর তিনি মারা যাবার পর তাঁরই সন্তান দুলুবাবু লোকে তাঁকে দুলু পাগলা বলে ডাকতেন দীর্ঘবছর পুজো করার পরই তিনি মারা যান।এরপর তাঁরই শিষ্যরা পুজো করে আসছেন।দুলুবাবুর আমলে একটি ঘটনা শোনা যায়,ওই সময় পাঞ্জাবের এক ড্রাইভার বাংলাদেশ থেকে আসার সময় দুলুবাবুর চোখে পরে এই দ্বিপানীতা পুজোর মধ্যেই তখন তিনি বলছিলেন সামনে বিপদ ওই লড়ি চালক এর।এরপর চালক পাঞ্জাবে বাড়ি গিয়ে দেখে তার স্ত্রী মরনা পন্ন।এরপর সেই চালক পুনরায় এই মন্দিরে এসে তার স্ত্রীকে মানত করে সুস্থ করে তোলেন। এরকম বহু অলৌকিক মাহাত্ত্য আছে এই ভৈরবী তলার মায়ের । পুজোর সময় ভীড় হয় অগনিত মানুষের। কিন্তু এই পুজোর রীতি নীতি পরিবর্তিত হয়নি একটুও।সকলে এখনও নিষ্ঠার সাথে পুজো করে আসছেন এলাকার মানুষেরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584