শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ নারী রুপি কালী আজ গৃহবধু রূপে পূজিত হচ্ছেন।
সাড়ে তিনশো বছর আগে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এই কালী পুজোর।আজও বুড়ো মা কালী হিসেবেই পূজিত হয়ে আসছে।কথিত যে কালীগঞ্জের সাধক রাজ রাম এই কালীপুজোর প্রচলন করেছিলেন।জানা গিয়েছে যে সপ্তদশ শতকের শেষভাগে কালীগঞ্জের রাজা রাম স্বপ্নাদেশ পান যে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গার স্বরস্বতীর মেয়ে শচীদেবীর সঙ্গে তার বিবাহের যোগাযোগ রয়েছে।সেই মতে তিনি বিবাহ করে নেন শচীদেবী কে কিন্তু বিবাহের আগে চুক্তি হয় যে শচীদেবী কোন অলৌকিক ঘটনা তাদের সামনে ধরা পড়লে তিনি কিন্তু অদৃশ্য হয়ে যাবেন।সেই মতে রাজা রাম বিবাহ করেন শচীদেবী কে।বৌভাতের দিন বিপত্তি ঘটে যায়।শচীদেবীর ঘোমটা পড়ে গেলে তিনি ঘোমটা দেওয়ার সময় তার দুটি হাত বুকে লাগানো ছিল এবং অন্য দুটি হাত দিয়ে ঘোমটা টেনে ঠিক করে ফেলেন।এই ঘটনা আমন্ত্রিত অতিথিরা দেখে ফেলেন তাই তারা বিচলিত হয়ে আপ্যায়ন রক্ষা না করেই চলে যেতে চান।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আত্মীয়দের রাজরামের পরিবারের লোক জনেরা নানা বিধ কথা বলার পর আটকান।শচীদেবী বিচলিত হন এবং লজ্জিত হন তাই হঠাৎ করেই তিনি অদৃশ্য হয়ে যান বাড়ি থেকে।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজরাম নদীর ধারে সাধনা করতে শুরু করে দেন এবং নারীরূপী কালী মা কে স্ত্রীরূপে পুজো শুরু করেন।সেই থেকে আজও বুড়ো মা কালী পূজিত হয়ে আসছে গৃহবধু রূপে।
এই পুজো ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে সকাল থেকেই ভক্তদের ঢল নামে এই পুজো দেখতে।এখানকার কালী নারীরূপে কালী মা কেই পুজো করে থাকেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুনঃ ভিন্ন রীতিনীতিতে পূজিত হন ইনগাছার মা কালী
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584