তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
১৯৯২ সালে সাবেক পশ্চিম দিনাজপুর জেলাকে দ্বিখন্ডিত করবার পূর্বে কালিয়াগঞ্জের নাগরিকদের দাবী ছিল কালিয়াগঞ্জকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত করে কালিয়াগঞ্জকে মহকুমা শহর করতে হবে।প্রায় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও বাধ সেধেছিল প্রয়াত সি পি আই এম নেতা বীরেশ্বর লাহিড়ী।শুধু মাত্র তার ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করবার কারনে তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকার পশ্চিমদিনাজপুর জেলাকে দ্বিখন্ডিত করে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৈরী করে বীরেশ্বর লাহিড়ীকে উত্তর দিনাজপুর জেলার সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক পদে বসিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার উন্নয়ন চিরদিনের মত স্তব্ধ করে দেয়। এক সময় কালিয়াগঞ্জ শহর থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা বুনিয়াদপুরকে মহকুমা শহরের তকমা লাগিয়ে কালিয়াগঞ্জকে সব দিক দিয়েই পিছনে ফেলে বুনিয়াদপুরের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়।
কালিয়াগঞ্জ শহর পুরানো পৌর শহর হলেও ২৬ বছর পূর্বে যেখানে ছিল অবস্থা সেখানেই আছে।তাই দেরিতে হলেও এতদিন পর সম্বিত ফিরেছে কালিয়াগঞ্জ শহরের নাগরিকদের।তাদের ব্যক্তব্য বর্তমান রাজ্য সরকার বড় বড় জেলাকে ভেঙে ছোট ছোট জেলা শহর করছে সাধারন নাগরিকদের পরিষেবা ত্বরান্বিত করবার স্বার্থে।সরকার যদি একটি এলাকার উন্নয়ন ঘটাতে চায় তা সহজেই করতে পারে।কালিয়াগঞ্জ শহরের নাগরিকদের দাবি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের নামে বুনিয়াদপুরকে যেমন গঙ্গারামপুর মহকুমা শহর করা হয়েছে, অনুরূপভাবে রায়গঞ্জ মহকুমা নাম রেখেই কালিয়াগঞ্জে রায়গঞ্জ মহকুমা শহর স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা সরকার নিক।তাতে করে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের আর্থ সামাজিক পরিবর্তন ত্বরান্বিত হতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।উত্তর দিনাজপুর জেলার আর এস পির জেলা নেতা দেবপ্রসাদ কর বলেন আমাদের দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল পশ্চিম দিনাজপুর জেলাকে যখন দ্বিখন্ডিত করা হচ্ছে তখন কালিয়াগঞ্জকে দক্ষিণ দিনাজপুরের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে কালিয়াগঞ্জকে মহকুমা শহর করা হোক।কিন্তু সেকথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।ফলে যা হবার তাই হয়েছে।তাই এই শহরের বন্ধ্যা দশা ঘোচাতে পারে রায়গঞ্জ মহকুমা শহরকে কালিয়াগঞ্জে স্থানান্তরিত করে কালিয়াগঞ্জকে মহকুমা শহরে রূপান্তর করার মাধ্যমেই।আমরা কালিয়াগঞ্জবাসী খুব শীঘ্রই রাজ্যের মাননীয়া মুখমন্ত্রীর কাছে এই দাবি জানাবো।
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক অমিত শাহ বলেন বিগত বামফ্রন্ট সরকারের তদানীন্তন জেলার সিপিআইএম এর নেতারাই কালিয়াগঞ্জের সর্বনাশ করে রেখে গেছে।এদের নিজেদের স্বার্থের কথা ভেবেই। এরা নিজেরাও পথে বসার সাথে সাথে কালিয়াগঞ্জকেও পথে বসিয়ে গেছে।তবে এখনও কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে সরকার অনেক কিছুই করতে পারে।তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জে মহকুমা শাসকের দপ্তর আনার সাথে সাথে কালিয়াগঞ্জে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের একটি অফিস স্থাপন করা যেতে পারে। যা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় করা হয়েছে। বিজেপির কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার পালক রূপক রায় বলেন কালিয়াগঞ্জের উন্নয়ন করা যেতে পারে গঙ্গারামপুরের আদলে।এ নিয়ে কালিয়াগঞ্জ বাসীর আন্দোলনমুখী হওয়ার প্রয়োজন অবশ্যই আছে। প্রয়োজন সর্বদলীয় সভা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাসক দলের বেশ কিছু ব্যক্তি আছেন যারা অনেকেই মনে প্রানে এই ধরনের উন্নয়নমূলক কাজকে আন্তরিক ভাবে সমর্থন করে বলে জানান।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক পাল বলেন গঙ্গারামপুরের মডেলে রায়গঞ্জ মহকুমার সদর দপ্তর কালিয়াগঞ্জ স্থাপন করা হোক এই দাবি আমার কানে এই প্রথম এলো।আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনপারছিনাা।তবে এই দাবি কতটা যুক্তি সঙ্গত সেটাও আমি বলতে গণতন্ত্রে সবারই দাবি দাওয়া থাকতেই পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584