নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানার অন্তর্গত কানাশোল গ্রামটি এমনিতে আর পাঁচটা কৃষিপ্রধান বর্ধিঞ্চু গ্রামের মতোই। কিন্তু ঝাড়েশ্বরের মন্দিরের জন্য এই গ্রামটির পরিচিতি শুধু মেদিনীপুরেই নয় সারা বাংলায় জুড়ে।
হিন্দু ধর্মের প্রাচীনতম এই মন্দিরে মহাদেব পূজিত হোন বাবা ঝাড়েশ্বর রূপে। এছাড়াও এই প্রাচীন রীতিতে নির্মিত মন্দিরের সাথে সাথে বাবার মাহাত্ম্য জড়িয়ে আছে। চৈত্র মাসের গাজন উপলক্ষ্যে প্রায় একমাস ব্যাপী গাজন মেলা হয় এখানে। পাশাপাশি সেই মেলায় দশ হাজারের বেশি বাবার ভক্তসহ লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় এই কানাশোল গ্রামে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে চুঁচুড়ার ভবঘুরেদের অন্ন দেবে উজ্জ্বল সংঘ
সেই চড়ক সংক্রান্তির পূজো এবার ধর্মীয় রীতিমতো পঞ্জিকা অনুযায়ী হলেও, এ বছর মেলা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।তবে প্রশাসনের পরামর্শ মেনে এবার কোনও ভক্তা থাকবে না। এমনকি বাবার চড়ক সংক্রান্ত কোনও অনুষ্ঠান হবে না। তবে তোড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক স্বপন সিংহ এই মেলাকে কেন্দ্র করে মিথ ও বাবা ও বিশেষত মন্দির সংলগ্ন পুকুরটির মাহাত্ম্য অসাধারণ বলে জানান।
আরও পড়ুনঃ সরকারি বিধি নিষেধকে মান্যতা দিয়ে ঔরস মোবারক বন্ধ
পাশাপাশি এই মন্দিরের সেবায়েত পুরোহিত সুনীল মিশ্র জানান, “তাঁর পঁচাত্তর বছরের জীবনে এ অভিজ্ঞতা নেই। তবে তিনি পূর্বপুরুষদের থেকে শুনেছেন ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার ব্ল্যাক আউট ঘোষণা করে। তারই ফল স্বরূপ সঙ্গে সঙ্গেই মন্দিরের সমস্ত পূজো সংক্রান্ত কার্যক্রম বাতিল করে দেওয়া হয়। তার পরে এই ২০২০ সালে প্রশাসনের পরামর্শ মতো সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে এই বছরের গাজন উৎসব হচ্ছে না”।
এদিন সুনীল বাবু আরও জানান, “তারা বাবার পূজা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বাবার কাছে সংসারের সকলের মঙ্গল কামনা ও করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনা করছেন”।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584