জীবনের শেষার্ধে এসে বার্ধক্য ভাতার দোরগোড়ায় কানচু বালা

0
76

তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ

জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও এতদিন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য দুর্গাপুরের নব্বই ছুঁইছুঁই কানচু বালা সরকারি দফতরের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও প্ৰকৃত দাবিদার হয়েও বেঁচে থাকার জন্য একটা ভাতা জোগাড় করতে পারেনি।গুরুত্ব দেয়নি পূর্বের কোন পঞ্চায়েত সমিতি অথবা এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত।

বৃদ্ধা কানচু বালা।নিজস্ব চিত্র

অথচ দেখা গেছে কানচু বালার মত হত দরিদ্র বৃদ্ধা সরকারি ভাতা না পেলেও গ্রামের পাকা বাড়ির মালিক প্রচুর জমির মালিক তারা কিন্তু এটি সহজেই সরকারের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধাগুলো সবার আগে পেয়ে গেছে এবং পাচ্ছে।কিন্তু তৃণমূল পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার সম্পুর্ন অন্য মানসিকতার মানুষ।

তিনি নব্বই বছরের প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা কানচু বালার ব্যাপারে সমস্ত খোঁজ খবর নিয়ে সে যে সরকারি সাহায্য পাবার যোগ্য দাবিদার তার চোখে ধরা পড়েছে।তাই কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতি দীপা সরকার ও সমাজসেবী হিরন্ময়(বাপ্পা)সরকারের ঐকান্তিক প্ৰচেষ্টা ও তৎপরতায় সেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে চলেছে।

নব্বই বছরের বিকলাঙ্গ কানচু বালা জানালেন, “আমার মা দীপা ও বেটা হিরন্ময়ের দৌলতে আমার জীবদ্দশায় আমি সরকারি ভাতা এবার পাবো বলেই আমার বিশ্বাস।ভাতা পাবার সব কাজ হয়ে গেছে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায় বসে আছি কবে সরকারি ভাতা পাবো।

আরও পড়ুনঃ প্রশিক্ষণ শেষে হচ্ছে না পরীক্ষা,নেই ভাতা সার্টিফিকেট

আর পারিনা দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা বৃত্তি করতে।সামান্য কদিন বেঁচে থাকার দিন কয়েক যদি সরকারি ভাতা পেয়ে যেতাম তাহলে আমার জীবন ধন্য হত।”

কানচু বালা সোমবার সকালে মহেন্দ্রগঞ্জের এই প্রতিবেদকের বাড়িতে এসে বলেন, “বাবা আমি যে জায়গায় বাস করি সেটা সরকারি জায়গা।কিন্তু আমারতো কোন কাগজ পত্র নাই।আমার জমিটা কে পাট্টা জমি করে দিলে এই কদিন নিশ্চিন্তে কাটাতে পারতাম।”

কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার বলেন, “কানচু বালার মত নব্বই বছরের প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা আজ পর্যন্ত সরকারের কোন সাহায্য পায়না তা ভাবতেও অবাক হতে হয়।আমি ঠিক করেছি যেমন করেই হোক নব্বই বছরের এই বৃদ্ধাকে সরকারি সাহায্য দেবার ব্যবস্থা করতেই হবে।এই সব মানুষের জন্যইতো সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প।

তাই কানচু বালা যাতে জীবনের শেষ কয়েকটা দিন একটু সুখের মুখ দেখতে পারে তার জন্য চেষ্টা করে যাবো বিশেষ ভাবেই।” কানচু বালা বলেন, “আমার তিন তিনটে ছেলে থেকেও ছেলে নেই।আমার সত্যিকারের ছেলে ও মেয়ে বলতে সভাপতি দীপা সরকার ও বাপ্পা বেটাই আমার আসল ছেলে মেয়ে।

আমি আর ক,দিন আছি।যে কয়দিন বেঁচে আছি ওদের সাহায্য নিয়েই বেঁচে থাকবো।” সমাজসেবী হিরন্ময়(বাপ্পা)সরকার বলেন, “এই বৃদ্ধা মানুষটিকে দেখলে সবারই মন খারাপ হবে।

কেন এত দিনেও সরকারের কোন রকম সুযোগ সুবিধা পায়নি?এই বৃদ্ধা সরকারি সুযোগ না পেলে কে পাবে?অথচ আজও সরকারের কোন রকম সাহায্য তার জোটেনি।এটা দুর্ভাগ্যজনক।আমরা দেখছি সরকারের কিকি সুযোগ সুবিধা তাকে দেওয়া যেতে পারে নিয়ম কানুন মেনে।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here