নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন। “এনভিরোন্মেন্টাল এডভাইজারী ফর সাস্টেন্যবল্ ট্রাস্ট” (ই.এ.এস.টি) কর্তৃক দক্ষিন ভারতে (সেন্ট জনস কলেজ, তিরুনেলভেলি) আয়োজিত ৪র্থ “আন্তর্জাতিক অ্যাকাডেমিক এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডের ” জন্য সারা ভারত থেকে মনোনীত হয়েছেন ভারত সরকারের জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের সুসংহত কৃষির জাতীয় প্রশিক্ষক বিজ্ঞানী কাঞ্চন কুমার ভৌমিক, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডি. কে. মডান, তামিলনাড়ুর স্কুল অফ এগ্রিকালচার এন্ড এনিম্যল সায়েন্সের অধ্যাপক টি. সেন্টিভ্যল, নিউদিল্লীর ইন্ডিয়ান স্কুল অফ সোসাল সায়েন্স রিসার্চের অধ্যাপক ভি. কে. মালহোত্রা, ব্যঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস.আর.কেসাভা, সেন্ট জনস্ কলেজের অধ্যক্ষ এস.জন.কেনেডী ভেথানাথন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন এশিয়া মহাদেশের, মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দালেলিয়ার কাউর রান্ডেয়র, শ্রীলঙ্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কে. এম. মুস্তাফা এবং অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি.সি, ডীন ও অধ্যাপকবৃন্দ।
কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা ও চাকুরির সুবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে একটাই সংকল্প আমাদের খাদ্যকে আগে বিষমুক্ত করতে হবে তাই রাসায়নিক সার ঔষধের যথেচ্ছভাবে ব্যবহার একেবারেই বন্ধ করতে হবে আর তাহলেই আমাদের মাটি, জল, বাতাস শুদ্ধ ও পরিস্রুত হবে এবং বাড়িতে বাড়িতে সুগার, প্রেসার এমনকি ক্যনসারের মারনব্যধিও কমবে তাই যখন যেখানে যান এই মাস ক্যম্পেন চলতে থাকে।
আজ ভাবতে অবাক লাগে করোনার মত মারনব্যধী আমাদের আষ্টেপিষ্টে বেঁধে রেখেছে যেখানে ইম্যুউন পাওয়ার একেবারেই কমে যাচ্ছে আর সেজন্যই চাই বিষমুক্ত খাবার। কৃষিবিজ্ঞানী কাঞ্চন কুমার ভৌমিকের জন্ম ১৯৭৬ সালের ১৮ ই এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত পিংলা থানার উপলদা গ্রামে। পিতা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। চারভাইবোনের সংসারে সবচেয়ে ছোট।
পড়াশোনা গ্রামের প্রাইমারী স্কুল ও হাইস্কুল। জাতীয় বৃত্তি ও বোর্ডের পরীক্ষায় ৮০ শতাংশের বেশী মার্কস্ নিয়ে গোবর্ধনপুর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক যথাক্রমে ১৯৯২ ও ১৯৯৪ সালে। সরকারী বোর্ডের পরীক্ষায় ৮৮ তম স্থান লাভ করেন। এরপর কৃষিবিজ্ঞানে রাজ্যের সেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে সাম্মানিক স্নাতক (১৯৯৯) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী (২০০১) লাভ করেন।
এছাড়াও দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান (আই.সি.এ.আর এবং এন.আই.আর.ডি) থেকে সময়ে সময়ে সুসংহত কৃষি ও এগ্রি ক্লিনিক এন্ড এগ্রি বিজনেস ম্যনেজম্যন্টের কিছু ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স করেছেন। গবেষণার জন্য ভর্তি হয় ভারতের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান আই.আই.টি খড়গপুরে ২ বছরের গবেষণা (লিডিং টু পি.এইচ.ডি) শেষে যোগ দেন রাজ্য সরকারের সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ (সি.এ.ডি.সি) তে কৃষি আধিকারিক পদে।
প্রায় ৭ বছর পর তিনি যোগ দেন রাজ্য সরকারের রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশনের রাজ্যের জীবন জীবিকা উন্নয়নের রাজ্য প্রবন্ধক পদে এবং বর্তমানে জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের সুসংহত কৃষির জাতীয় বিশেষজ্ঞ (এন.আর.পি – এস.এ)।
আরও পড়ুনঃ ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন জঙ্গলমহল এলাকার এক শিক্ষক
তিনি গবেষনার জন্য ডাক পেয়েছিলেন নিউজিল্যাণ্ডের ম্যশে ইউনিভার্সিটিতে। তিনি ইতিমধ্যেই সাম্মানিক ডক্টরেটের জন্য মনোনীত হয়েছেন লন্ডণ গ্র্যাজুয়েট স্কুল ( ইন কলাবোরেশন উইথ কমনওয়েল্থ ইউনিভার্সিটি) থেকে। তিনি ভারত সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রনালয় কর্তৃক জাতীয় পুরস্কার (স্কলারশিপ) ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়ং সায়েন্টিস্ট পুরস্কার পেয়েছেন।
ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক এম.এস.স্বামীনাথন কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। তার আবিষ্কার জৈব ইউরিয়া ও কাঞ্চনকনা। ইতিমধ্যেই ভারতের পাশাপাশি নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, বার্মা ও সোভিয়েত রাশিয়ার বিভিন্ন দেশে তিনি পুরষ্কৃত হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে পত্রিকার উন্মোচন সালারে
তিনি ইউনেস্কো গুয়াংজো এসোসিয়েশন, কোরিয়া কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। তার গবেষণার বিষয় মুলত মাটি, জল,পরিবেশকে ঠিক করে বিষমুক্ত খাবার যা বর্তমানে বড়ই দুর্লভ। তাইতো বাড়ীতে বাড়ীতে সুগার প্রেশার ক্যনসারের মত মারনব্যধী আর করোনার মতো সামান্য ভাইরাসও অসামান্য চেহারায় সারা বিশ্বকে ভাবিয়ে তুলেছে।
এই করোনা প্যান্ডেমিকের মধ্যে কল্যানী ইউনিভার্সিটি, উড়িষ্যার সম্বলপুর ইউনিভার্সিটি ও বিদেশের কয়েকজন বিজ্ঞানীদের সাথে যৌথ গবেষনায় “জৈব সেলুলোজ মাস্ক” ও ইম্যুউন বুস্টারের ফরমুলা (কোভিডমুক্তি) বের করেছেন যা আই.সি.এম.আরের প্রশংসিত হয়েছে এবং তার বেশ কিছু গবেষণা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক গবেষণায় স্থান পেয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584