নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
কর্ণাটকের উদুপি কলেজ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘হিজাব বিতর্কে’ প্রতিবাদী ৬ মুসলিম ছাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য। অভিযোগ আলিয়া আসাদি নামের এক ছাত্রীর। উদুপির গভর্নমেন্ট প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজর ঐ ছাত্রীর ফোনে ৯ ফেব্রুয়ারি, বুধবার কিছু অপমানজনক ফোন কল আসতে থাকে। তার কিছুক্ষণ পরেই আলিয়া জানতে পারেন যে তাঁদের ফোন নম্বর, বাবা-মায়ের নাম, বাড়ির ঠিকানা সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উদুপির বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।

বুধবার, এই ৬ জন প্রতিবাদী ছাত্রীর কলেজের অ্যাডমিশন ফর্ম ‘লিক’ করা হয়েছে কলেজ থেকেই। জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য কুইন্ট’-এর প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। ‘দ্য কুইন্ট’ -এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই অনলাইন মেসেজগুলিতে তারা দেখেছে এই ৬ প্রতিবাদী ছাত্রীকে তাদের নাম ও ছবি সহ উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ “বিকিনি পরবেন না হিজাব, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নারীর”, টুইটারে বিস্ফোরক প্রিয়াঙ্কা
তাৎপর্যপুর্ণ বিষয় হল, এই ছাত্রীদের পরিচয়ের বিস্তৃত তথ্য সহ যে মেসেজ নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেটি কলেজের লেজার বই থেকে স্ক্যান করা একটি পিডিএফ ডকুমেন্ট। সুতরাং ধরেই নেওয়া যায় তা কলেজ থেকেই লিক হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে দ্য কুইন্ট।
আরও পড়ুনঃ উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবাদ যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছে চরম লজ্জার! আজ দেশ সেই পথেই ধাবিত
উল্লেখ্য, কলেজের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হলেন উদুপির বিজেপি বিধায়ক রঘুপতি ভাট এবং তিনিই ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই নির্দেশ জারি করেন যে মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব বরে ক্লাস করতে পারবেন না। পাশাপাশি ছাত্রীরা দ্য কুইন্টকে জানিয়েছেন যে, অ্যাডমিশনের নথি শুধুমাত্র কলেজেই জমা দিয়েছিলেন তাঁরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584