সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
একশো দিনের কাজে শৌচাগারের তৈরি করার জন্য উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও শৌচাগার হয়নি। অবশেষে বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর হীরাগাছি গ্রামের ১২ জন উপভোক্তাকে বিজেপির মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত দিলেন এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত একশো দিন প্রকল্পের সুপারভাইজার আরিফ মিঁয়া। নিয়ম অনুযায়ী শৌচাগার তৈরির জন্য জন্যে উপভোক্তাদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা নেওয়ার কথা। কিন্তু এই গ্রামে প্রায় দ্বিগুণ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে উপভোক্তাদের অভিযোগ।
পঞ্চায়েত যদিও ব্যাখ্যা দিচ্ছে,শৌচাগার তৈরি করার জন্য উপভোক্তাকেই মজুরি বাবদ একশো দিনের প্রকল্পে টাকা দেওয়া হয়। তিনি নির্মাণ কাজ না করলে উপভোক্তাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে শৌচাগার তৈরি করে দেয় ঠিকাদার। পরবর্তীকালে মাস্টার রোল তৈরি হওয়ার পরে উপভোক্তার একাউন্টে টাকা ঢুকে যায়। কিন্তু এই গ্রামে শৌচাগার তৈরি না হওয়ায় বেনিয়ম ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় লাঠিচার্জের প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ারে এসএসকে-এমএসকে ঐক্য মঞ্চের মিছিল
বৈকুন্ঠপুর পঞ্চায়েত প্রধান জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গায়ের জোরে সরকারি প্রকল্পের টাকা সুপারভাইজারের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এলাকায় বিভ্রান্তি ও অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। যদিও শৌচাগার কেন তৈরি হয়নি তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি প্রধান।
সুপারভাইজার বলছেন, ঠিকাদার তাঁর মাধ্যমে উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। বিভিন্ন গোলমাল চলায় এবং চাপ থাকায় বিজেপির দপ্তরে এসে ১২ জন উপভোক্তার ১৮০০ টাকা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার আরও দাবি,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাকে পঞ্চায়েতে গিয়ে নানা রকম কাজ করতে হয়।
১১ জন উপভোক্তার অনুমতি নিয়ে সেই কাজ করার জন্য ৫০০ টাকা করে তিনি নিয়েছিলেন। বিজেপি মন্ডল সভাপতি সুভাষ দত্তের দাবি, কাটমানি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। উপভোক্তারা অবশ্য টাকা পাওয়ার পরে বলছেন, এবার নগর টাকাতেই তাঁরা শৌচাগার তৈরি করবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584