সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
ঘরের ভিতর কল লাগানো আছে।এনফোর্স শাখার অফিসার ভেবেছিলেন যে, কল খুললে জল বেরোবে কিন্তু জল তো দূরে থাক দেখা গেল নীল রঙের তরল বের হচ্ছে।সে তরল আসলে তেল নীল রংয়ের কেরোসিন।এর পরেই আধিকারিকরা তদন্ত এবং জেরা শুরু করলে বেআইনি কেরোসিনের কারবারির বিষয়টি এল চোখের সামনে।পূর্ব বর্ধমান জেলা দুর্নীতিদমন শাখার হানা দিল বেআইনী কেরোসিন কারবারীর গুদামে। তাতে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩৯ ড্রাম কেরোসিন।
ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৭ জনকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়,বেআইনিভাবে কেরোসিনের ব্যবসা চালানো হচ্ছে এরকম একটি অভিযোগ পেয়ে তাঁরা তদন্তে যান।সেখানে গিয়ে তাঁরা যা দেখলেন তাতে তো তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ হল।এই একই সাথে যা কেরোসিন আটক করা হয়েছে তার খোলা বাজারের দাম প্রায় ৩ লক্ষ ৯০ হাজারেরও বেশি। কিভাবে এই কারবার চলতো শক্তিগড়ের এই বাড়িতে? জানা যায়, অফিসার যখন দেখলেন কল থেকে জলের বদলে তেল বের হচ্ছে তখন সেই কলের পাইপ লাইন ধরেই উঠতে থাকলেন তিনি।পাইপ লাইন ধরে তিনি যেখানে পৌঁছালেন সেখানে দেখা গেল ফাইবারের ছাউনিতে ঘেরা একটি দেড় হাজার লিটার এর ট্যাংক রয়েছে। সেই ট্যাংকের ঢাকনা খুলতেই দেখা গেল কেরোসিন।
সরকারিভাবে যেখানে ৩২ টাকায় কেরোসিন পাওয়া যায় খোলা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।এখন চাষের সময় তাই চাষিরা সেচের পাম্প চালানোর কাজে কেরোসিন কেনেন। তাছাড়া পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় শক্তিগড়ের এই কারবারিদের দোকান রয়েছে সেখানে কেরোসিন পাঠানো হয় নিয়মিত। দুর্নীতি দমন শাখার এই অভিযানের ফলে বেআইনি কেরোসিন কারবার কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে সর্ষের মধ্যে ভূত আছে কিনা তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার বলে মত এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুনঃ ভাষা ভিত্তিক বিভেদের জেরে অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584