রথযাত্রার দিন কীর্তন যাত্রার প্রস্তুতি,অনুব্রতর খোল খঞ্জনী দান

0
124

পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ

বলেছিলেন জেলার কয়েক হাজার কীর্তনের দলকে খোল-খঞ্জনি দেবেন।বুধবার বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে মঞ্চ বেঁধে,অনুষ্ঠান করে চার হাজার খোল আর আট হাজার খঞ্জনি বিলি করল বীরভূম জেলা তৃণমূল।নেতৃত্বে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

জেলার ১৯টি ব্লকের কীর্তনীয়াদের ডেকে এ দিন খোল বিতরণ করেন অনুব্রত মণ্ডল।উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ চৌধুরী-সহ জেলা তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা।অনুষ্ঠানের পর কেষ্টবাবু জানিয়ে দেন, এই খোল-খঞ্জনি নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর ব্লকে ব্লকে মিছিল হবে কিন্তু ১৪ তারিখ তো তারাপীঠ থেকে রথযাত্রা শুরু করবে বিজেপি। অনুব্রতর উত্তর, “কে কখন মরা নিয়ে যাবে তার দায় আমার নাকি?”
প্রসঙ্গত, আগেই অনুব্রতবাবু বলেছিলেন, “এই রথযাত্রা হলো বিজেপি-র শ্মশান যাত্রা।” গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচি ঘোষণা করার দিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ওই যাত্রার আগে আগে হরিনাম সংকীর্তনের দল বেরোবে।”

কীর্তনের সরঞ্জাম বিতরণ। নিজস্ব চিত্র

খোল বিতরণ সম্পর্কে অনুব্রত বলেন, “খোলের অনেক দাম।গরিব মানুষ কিনতে পারেন না।ব্লক প্রেসিডেন্ট,অঞ্চল প্রেসিডেন্টদের বলেছিলাম সাহায্য করতে। তারা কেউ পাঁচটা, কেউ দশটা খোল দিয়েছে।” এর আগেও ব্রাহ্মণ সম্মেলন করেছিলেন অনুব্রত। বলেছিলেন, “আমি শিবের পুজো করা হিন্দু। আমার বাপ-ঠাকুরদাকে গোটা জেলার মানুষ চেনেন।অমিত শাহদের থেকে হিন্দুত্ব শিখতে যাব না।” পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি-কে টেক্কা দিতেই অনুব্রতর এই কৌশল।
গত ১৬ নভেম্বর নেতাজি ইনডোরের সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতাদের বলেছিলেন বিজেপি-র রথযাত্রা নিয়ে ঝগড়া না করতে। বরং যে রাস্তা দিয়ে ওরা রথ নিয়ে যাবে, পরের দিন ওই রাস্তাতেই পবিত্র যাত্রা করার ডাক দিয়েছিলেন মমতা কিন্তু বীরভূম জেলা তৃণমূল জানিয়ে দিল,অপেক্ষা নয়। রথযাত্রার দিনই খোল-খঞ্জনির কীর্তন মিছিল বের করবে তারা।এখন দেখার, বিজেপি-র রথ আর তৃণমূলের কীর্তন বীরভূমের রাজনৈতিক সরণিতে কোনও ট্রাফিক জ্যাম তৈরি করে কিনা!

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here