এবার স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ভিডিও বার্তা কেএলও-র, সশস্ত্র সংগ্রামের হুঁশিয়ারিও

0
89

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

আর পৃথক রাজ্য নয় এবার স্বাধীন রাষ্ট্র চাই, অন্যথায় সশস্ত্র সংগ্রামে নামবে তারা- এমনই হুঁশিয়ারি দিয়ে ভিডিও বার্তা দিল উত্তরবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন। কেএলও গোষ্ঠী গত দুমাসে চারটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর হঠাৎ এতটা সক্রিয় হয়ে ওঠায় কপালে চিন্তার ভাঁজ রাজ্যের গোয়েন্দাদের।

KLO
সৌজন্যেঃ সংবাদ প্রতিদিন

এর আগের ভিডিও বার্তা গুলিতে কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংহ-কে দেখা গিয়েছিল ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়েছে। হয়তো বা সেকারনেই বৃহস্পতিবার রাতে তাদের ফেসবুক পেজে যে ভিডিও পোস্ট করেছে কেএলও তাতে জীবন সিংহকে দেখা যায়নি। কোচ পাভেল নামে এক যুবক জীবন সিংহের লেখা বার্তাটি পাঠ করে। কেএলও-র বিদেশ সচিব হিসেবে নিজের পরিচয় দেন পাভেল নামের যুবক।

আরও পড়ুনঃ অসমে একাধিক পণ্যবাহী ট্রাকে বিচ্ছিনতাবাদী গোষ্ঠীর বন্দুক হামলা, মৃত ৫, আহত ১

এই বার্তায় বলা হয়, উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলা, নেপালের কিছু অংশ, বিহারের কিষানগঞ্জ সংলগ্ন কিছু এলাকা, অসম ও মেঘালয়ের বেশ কিছু এলাকা ও বাংলাদেশের রংপুর এলাকা নিয়ে স্বাধীন কামতাপুর রাষ্ট্র গঠন করতে চায় কেএলও। ইতিহাস বর্ণিত কোচবিহার রাজ্যের সীমা মেনেই স্বাধীন কামতাপুর রাষ্ট্র তৈরি করবে তারা। দাবি না মানা হলে সশস্ত্র আন্দোলনের রাস্তায় যাবে সংগঠন।

আরও পড়ুনঃ উত্তরাখণ্ডে বড়সড় বিপর্যয়, দেরাদুনে নদীর ওপর ভেঙ্গে পড়ল ব্রিজ

কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মন এই ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে বলেন যে, কিছুদিন আগে বিজেপিও একই দাবি জানিয়েছিল। সম্ভবত কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানিয়েছে কেএলও। তৃণমূলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন কোচবিহার জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। কোচবিহারের বিজেপি সভাপতি মালতী রাভা রায় বলেন, “বিজেপি জাতীয়তাবাদী দল। এর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কোনও যোগ নেই। সংগঠনটি নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুযায়ী দাবি জানিয়েছে।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here