এবার নিমতলায় হবে করোনায় মৃতদের দাহ, বিশেষ নির্দেশিকা জারি পুলিশ-প্রশাসনের

0
131

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

রাজ্যে উর্ধ্বগামী করোনা সংক্রমণের সঙ্গে বেড়ে গিয়েছে মৃত্যুর হারও। প্রত্যেকদিনই ২০০০-এর বেশি মানুষের সংক্রামিত হওয়ার খবর মিলছে এবং মারাও যাচ্ছেন গড়ে ৪০ জন করে। এর মধ্যে কলকাতাতেই মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ। এই বিশাল সংখ্যক মৃতদেহ সৎকারের জন্য ধাপার দুটি চুল্লিতে অত্যাধিক চাপ তৈরি হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই নিমতলা মহাশ্মশানে কোভিড রোগে মৃতদের দাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ ও পুরসভা।

Nimtala Samsan | newsfront.co
ফাইল চিত্র

সূত্রের খবর, সব সময়ের জন্য না হলেও একটি বিশেষ সময়ে করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করার জন্যই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নিমতলা এলাকায় বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নিমতলা পুরনো কমপ্লেক্সটিকে করোনায় মৃতদের দাহ করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিমতলা শ্মশান এলাকায় রাত ১০টার পর রাস্তায় বেরোবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে।

আরও পড়ুনঃ করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া সত্ত্বেও সৎকারে বাধা, ১৮ ঘণ্টা পড়ে থাকল বৃদ্ধার দেহ

জানা গিয়েছে, রাত ১০ টার পর নিমতলার পুরনো কমপ্লেক্সে সমস্ত করোনা মৃতদেহ নিয়ে আসা হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সব মৃতদেহ শ্মশানে ঢুকে যাবে, ততক্ষণ পুলিশ সমস্ত এলাকা ঘিরে রাখবে। তারপর সৎকার শেষ হওয়া পর্যন্ত পুলিশবাহিনী সেখানেই থাকবে।উল্লেখ্য, বর্তমানে একমাত্র ধাপার ৪ টি চুল্লির মধ্যে ২ টি চুল্লিতে করোনা মৃতদেহ পোড়ানো হয়। হাসপাতাল থেকে দেহ সংগ্রহ করে পোড়ানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২ টি বেসরকারি সংস্থাকে।

আরও পড়ুনঃ রামমন্দিরের ভূমিপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে! করোনা আক্রান্ত মন্দিরের পুরোহিত-সহ ১৬ পুলিশকর্মী

এর মধ্যে আমফান পরবর্তী সময়ে ধাপার একটি করোনা চুল্লি খারাপ হয়ে যাওয়ায় বিপুল রোগীর চাপ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় প্রশাসনকে। তাই হাসপাতালের করোনা শয্যাবৃদ্ধির মতোই করোনায় মৃতদের দাহ করার জন্য অতিরিক্ত চুল্লিও খুঁজছিল প্রশাসন। প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করেই নিমতলার পুরনো কমপ্লেক্সকে এই তালিকায় নেওয়া হযেছে।

সূত্রের খবর, শীঘ্রই ক্যানিং-এর একটি শ্মশানকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাহলে চাপ আরও কিছুটা কমবে। আরও বিভিন্ন এলাকায় তিন-চারটি শ্মশানের কথা ভেবে রাখা হয়েছে। যাতে শহরের শ্মশানের ওপর চাপ বেড়ে করোনা মৃতদেহ জমে না যায়। পরিস্থিতি কেমন দিকে এগোচ্ছে, তা দেখেই পরবর্তীকালে এই শ্মশানগুলিতে করোনা সংক্রমণের মৃতদেহগুলি দাহ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here