শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
সাত সকালে গড়িয়া শ্মশানে গাড়িতে করে ১৩ টি অপরিচিত দেহ পোড়ানোর জন্য আনা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ঝামেলা করাতে মৃতদেহগুলি না পুড়িয়েই দেহ ভর্তি গাড়িটা চলে যায়। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় বাঁশদ্রোণী থানা ঘেরাও ও ডেপুটেশনও জমা দেওয়া হয়। এবার গড়িয়া শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে যাওয়া ১৩ টি বেওয়ারিশ লাশ করোনা আক্রান্তদের নয়, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিল কলকাতা পুরসভা। একই কথা বলেছে স্বাস্থ্য দফতরও।
পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মর্গে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা আনক্লেমড বডি দাহ করার উদ্দেশ্যে গড়িয়া শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওই মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্ত রোগীদের নয়। এদিন সকালে ১৩ টি বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে গড়িয়া শ্মশানে দাহ করতে গেলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুরসভার কর্মীরা। দেহগুলি দাহ করতে বাধা দেন স্থানীয়রা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ডিওয়াইএফআই সদস্যরাও। তাঁদের অভিযােগ, করোনায় মৃত কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য-প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত দেহগুলি গড়িয়া শ্মশানে দাহ করতে দেওয়া হবে না। একসঙ্গে এতগুলি লাশ এল কোথা থেকে, তা নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলেন।
এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটির পর গাড়ি থেকে দেহগুলি নামিয়ে শ্মশানের ভিতরে নিয়ে যান কর্মীরা। কিন্তু স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে সেগুলি আবার গাড়িতে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হন তাঁরা। এরপরে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় লাশগুলি গাড়িতে চাপিয়ে ফের ফিরে যান পুরসভার কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ জম্মু-কাশ্মীরে ২৮ সিআরপিএফ জওয়ান করোনা আক্রান্ত
প্রশ্ন ওঠে, করোনার জিগির তুলে যদি এভাবে দেহ সৎকারে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে সৎকার হবে কী করে? সব মৃত্যুই তো আর করোনা সংক্রমণের কারণে হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে দাহ করতে বাধা দান কতটা যুক্তিযুক্ত? এদিন বিকেলেই কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়ে দেয়, বেওয়ারিশ দেহগুলি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের নয়। যদিও স্থানীয়দের দাবি, চাপের মুখে সামলাতে এই ধরনের কথা বলা হয়েছে। কথাটি সত্যি হলে ফের লাশগুলি ফিরিয়ে নিয়ে আর আসা হল না কেন, এই প্রশ্নই তুলেছেন তাঁরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584