মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের জেরে নাজেহাল জনজীবন। সংক্রমণ রুখতে প্রায় আড়াই মাস ধরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। টানা এতদিন লকডাউনের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। শুধু দেশেরই নয়, এ রাজ্যের অর্থ ভান্ডারও ক্রমশ শূণ্য হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন খাত থেকে কমেছে আয়। তাই বাধ্য হয়ে শুক্রবার থেকে পার্কিং ফি শুরু করেছে কলকাতা পুরনিগম।
পার্কিং ফি বাবদ বছরে পুরনিগমের সাধারণত ২০ কোটি টাকা আয় হয়। কিন্তু লকডাউনের জেরে গত আড়াই মাস পার্কিং ফি আদায় বন্ধ ছিল। আর তার জেরে পুরনিগমের চার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। একইভাবে সম্পত্তি কর, নির্মাণ অনুমোদনের ফি ও জরিমানা, লাইসেন্স ফি থেকেও পুরনিগমের আয় নিমেষে ছ’গুণের বেশি কমে গিয়েছে। অথচ সেগুলিই পুরনিগমের আয়ের মূল উৎস।
আরও পড়ুনঃ শহরে সংক্রমণের শীর্ষে ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড! চলছে লাগাতার সকলের লালারস নমুনা সংগ্রহ
এদিকে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পুরনিগমের ভাঁড়ার থেকে বাড়তি প্রায় ১৫০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে প্রতি মাসে স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের বেতন এবং পেনশন বাবদ পুরনিগমের খরচ হয় ১৫০ কোটিরও বেশি। তার জেরে পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে পুরনিগম। তা সত্ত্বেও কর্মীদের জুনের পয়লা তারিখেই বেতন ঢুকেছে। তবে পেনশনের ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হয়েছে।
করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে পুরনিগমের ভাঁড়ার প্রায় শূণ্য। জুনের পর কি হবে, তা ভেবেই মাথায় হাত পরেছিল পুরনিগমের সদস্যদের। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পার্কিং ফি নিতে হচ্ছে কলকাতা পুরনিগমকে। তবে কনটেনমেন্ট জোনে আপাতত পার্কিংয়ের সুবিধা মিলবে না বলে জানিয়েছেন প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584