মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
কেউ কাজ হারিয়েছেন লকডাউনের আগেই, কেউ লকডাউনের পর। হাতে যা টাকা পয়সা ছিল এইকয়েকদিনে সেটাও শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাড়িতে ফিরতে পারেননি। তাই এই দুঃসময়ে আটকা পড়ে থাকতে হচ্ছে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে অন্য কোন রাজ্যে।
কোচবিহার জেলায় এই ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকা পড়ে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা কম নয়, কোচবিহার জেলা প্রশাসন এখনও পর্যন্ত এমন ৬ হাজারেরও বেশী আটকে পড়া শ্রমিকের সাথে যোগাযোগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। যাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ব্যবস্থা করে নিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির বদল হয় নি। মুম্বইয়ের থানেতে কাজ করতে আটকে পড়া তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জনা ২০ যুবক একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে তাঁদের উদ্ধার করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও জেলার মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছেন। শুধু বলরামপুর এলাকারই নয়, এরকম দিনহাটা, মাথাভাঙা, সিতাই, শীতলখুচি সহ জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে কেউ মুম্বইয়ে, কেউ দিল্লীতে, কেউ কেরলে, কেউ ব্যাঙ্গালোরে আটকে রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই যোগাযোগ করে উদ্ধারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পর্যাপ্ত রেশন না দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ গ্রামবাসীরা
এদের অনেকেই জানিয়েছেন, টাকা পয়সা শেষ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না। নিলেও একবার দেখেই চলে গিয়েছে, আর ফিরেও আসেনি। বিস্কুটের মত শুকনো কিছু খাবার খেয়েই তাঁদের দিনযাপন করতে হচ্ছে। এদিকে বাড়ির লোকজন তাঁদের নিয়ে উদ্বেগে কান্নাকাটি করছেন।
কোচবিহার জেলা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছেন, এই জেলা থেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়াদের সাথে যেমন যোগাযোগ তৈরি করে তাঁদের ব্যবস্থা করার জন্য ২৫শে মার্চ থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তেমনি এই জেলায় আটকে পড়া বাইরের থেকে আসা ৭৯০জন শ্রমিককে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেখভাল করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, কোচবিহারে এখনও পর্যন্ত হোম কোয়রান্টিনে থাকার সংখ্যা ১১ হাজার জন। এদের একটা অংশ ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক। তাঁদেরও নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছে প্রশাসন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584