পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেলারমাঠ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়াকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার সমাধান করতে হস্তক্ষেপ করতে হয় হাইকোর্টকে। অশান্ত পরিবেশকে সুষ্ঠ সমাধানের জন্য কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশিত চার সদস্যের কমিটির সদস্যরা রবিবার শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে আসেন।
বৈঠক হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনের সাথে। বৈঠক শেষে বিশ্বভারতী ও জেলা প্রশাসনের একটি যৌথ প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, পরবর্তীতে ডাকা হবে শান্তিনিকেতনের, আশ্রমিক, আবাসিক এবং ব্যবসায়ী সমিতিকে। রবিবার সকাল থেকে বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন এই কমিটির সদস্যরা ঘুরে দেখেন পৌষমেলার মাঠ। তারপর বৈঠক হয় বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে উপাচার্য, কর্মসচিব সহ আধিকারিকরা যেমন উপস্থিত ছিলেন, তেমনই ছিলেন জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু সচেতনতা গড়তে মেদিনীপুরে ট্যাবলো উদ্বোধন
বৈঠক শেষে যৌথভাবে প্রকাশিত প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে বিশ্বভারতী ও জেলা প্রশাসনের বক্তব্য শোনে কমিটির সদস্যরা। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোন সমস্যার সমাধানে বিশ্বভারতী এবং জেলা প্রশাসন একসাথে আলোচনা এবং তথ্যের আদান প্রদান করবেন।সেই সাথে জানানো হয় যে এই কমিটি দ্রুত আবার আসবেন এবং কথা বলবেন আশ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সাথে।
কিন্তু বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল সিং জানিয়েছেন, হাইকোর্ট থেকে আসা ৪ সদস্যের কমিটি তাদেরকে বাদ দিয়ে ফের বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেনি। তবে মাঠ পরিদর্শনের সময় ব্যবসায়ী সমিতির তরফে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশে যে কমিটি বিশ্বভারতীতে এসেছে তারা কথা বলেছে। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লার্নার, গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের অভিনব উদ্যোগ ব্যারাকপুর এআরটিওতে
ব্যবসায়ী সমিতি যা বক্তব্য সেটা বলেছে। তবে বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠনের দাবি, হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, সব সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে হবে এবং সম্পূর্ণ বিশ্বভারতীর কাজকর্ম নজরদারি করবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সুপারপাওয়ার কমিটি। তাতে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নাক কাটা গেল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584