পুরভোটে আকাশপথের নজরদারি সুরক্ষিত করতে আরও আটটি ড্রোন কিনছে লালবাজার

0
96

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

শহরের আকাশপথে নজরদারি আরও সুরক্ষিত করতে চায় লালবাজার। বিশেষ কোনও মিছিল অথবা স্বাধীনতা-প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই এতদিন ব্যবহার হত মাত্র ৩ টি ড্রোন।

drone camera | newsfront.co
ছবিঃ প্রতীকী

কিন্তু এবার পুরভোটকে মাথায় রেখে শহরের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করতে পরিকল্পনা নিলেন লালবাজারের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, শুধু পুরভোটে নয়, দুর্গাপুজো থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থা, বহুতলে আগুন এমনকি বড় মিটিং-মিছিলের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হবে এই ড্রোন গুলিকে।

সূত্রের খবর, ৭২ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরে আরও ৮টি ড্রোন কেনার জন্য চলতি সপ্তাহেই টেন্ডার ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। শহরে সিএএ বিক্ষোভ থেকে শুরু করে জমায়েত যেভাবে বাড়ছে, তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে শুধুমাত্র মাটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখতে চাইছে না পুলিশ। তাই এবার ড্রোনের সংখ্যা আরও বাড়াতে চাইছেন লালবাজারের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ৪টি ড্রোনের পাল্লা হবে সাড়ে ৩ কিলোমিটার এবং বাকি ৪টির পাল্লা হবে ২ কিলোমিটার। এগুলি প্রত্যেকটিই দীর্ঘক্ষণ ধরে আকাশে ভেসে থাকতে সক্ষম হবে।

কি কি বিশেষত্ব থাকছে এই ড্রোনগুলিতে? জানা গিয়েছে, এক-একটি ড্রোনের ওজন ৪ কেজির থেকেও হালকা হবে। সমুদ্র থেকে ৩০০০ এএমসিএল উচ্চতা পর্যন্ত এগুলি যেতে পারবে। একেবারে শূন্য ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা এগুলি সহ্য করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন

১৮ নট পর্যন্ত হাওয়ার গতিবেগ প্রতিরোধে সক্ষম সাড়ে ৩ কিলোমিটার পাল্লার ড্রোন, আর ৬ নট পর্যন্ত হাওয়ার গতিবেগ প্রতিরোধে সক্ষম ২ কিলোমিটার পাল্লার ড্রোন। নির্দেশ পেলে ৫ মিনিটের মধ্যে স্বস্থানে পৌঁছে আবার নির্দেশ পেলে ১০ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসতে পারে।

লালবাজারের এক আধিকারিক বলছেন, এমন অনেক সময়ে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলগুলি খুব অল্প সময়ে নোটিশ দিয়ে বড় মিছিল বা মিটিং করার চেষ্টা করে।

ওই মিছিল বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়ে পুলিশের পক্ষে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। মিছিলের মধ্যে থাকা খুব কম লোক নজরদারির ফাঁক ফোকরের সুযোগ নিযে অনেক বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।

দিল্লির সাম্প্রতিক ঘটনা সেই শিক্ষা একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। এই ড্রোনগুলি নিয়ে নজরদারি চালালে পুলিশের হাতে পর্যাপ্ত ভিডিও ফুটেজও থাকবে। একই ভাবে বহুতলে আগুন লাগলে ভিতরের পরিস্থিতি দেখা অথবা দুর্গাপুজোতে কোনও এলাকাতে বেশি ভিড়ের কারণে মণ্ডপে বা রাস্তার ট্রাফিকে সমস্যার সৃষ্টি হলে ওপর থেকে দেখে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here