শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা আতঙ্কের জেরে সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে সবচেয়ে বেশি দৌড়তে হচ্ছে পুলিশকেই। কখনও অবাধ্য মানুষকে ঘরে ঢোকানো, আবার কখনও গরিব মানুষকে চাল-ডাল-রেশনেরও বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে। এমনকি রাস্তার অবলা পশু থেকে ঘোড়ার খাবারের জোগান দিচ্ছে পুলিশ।
ফলে পুলিশকর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভয় সবচেয়ে বেশি। এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র মাস্ক পরে ডিউটি করেছেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু এবার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শহরের সমস্ত থানা এবং ট্রাফিক গার্ডকে পিপিই স্যুট কেনার নির্দেশ দিল লালবাজার।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে বয়স্কদের বাড়িতে চিকিৎসা পরিষেবা-ওষুধ দিতে শহর জুড়ে দৌড় ‘হসপিটাল অন হুইলস’-এর
আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই সমস্ত পিপিই স্যুট কিনে সেগুলি পড়ে তবেই ডিউটি করতে বলা হয়েছে।লালবাজারের তরফে ডিভিশনাল ডিসি-দের কাছে পাঠানো ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, মহিলা থানা বাদ দিয়ে ৭১টি থানা এবং ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা যেন দ্রুত পিপিই-সহ সমস্ত সুরক্ষা সামগ্রী কিনে বাহিনীর হাতে তুলে দেন।প্রত্যেক থানা বা ট্রাফিক গার্ড ৫০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবে। খরচের হিসেব লালবাজারের পাঠানো হলে কিছুদিনের মধ্যেই তা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই লালবাজারে নির্দেশ পেয়ে থানা এবং ট্রাফিক গার্ডগুলির তরফে এই সমস্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্ত সরঞ্জামসহ পুলিশকে রাস্তায় এবং থানায় ডিউটি করতে দেখা যাবে। অন্তত সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগে আসার সময় এগুলি অবশ্যই ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল বৌবাজার থানায় খবর আসে, তাদের এলাকায় ফুটপাতে এক জন জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে পড়ে আছেন। বৌবাজার থানার পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে ওই ব্যক্তিকে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষায় জানা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ।
তারপরেই বউবাজারের ওই ৩ অফিসার কেউ কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। সেই কারণে অসুস্থকে উদ্ধার করার সময়ে পুলিশকর্মীদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার। একইসঙ্গে পুলিশি প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহৃত সমস্ত জায়গায় পিপিই-স্যুট পড়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584