পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
অগ্রনীসমাজ,সমাজের অগ্রসরে অন্যন্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে এই ক্লাব এর জুড়ি মেলা ভার,সাঁইথিয়ার এই ক্লাব এবারের পুজোয় উপহার দিতে চলেছে উড়িষ্যার কোনারক মন্দির। শিল্পীর হাতের নিপুণতায় ফুটে উঠেছে নিখুঁত কোনারক মন্দিরের রূপ।শিল্পী সোমনাথ নন্দন জানান,”প্রায় দুমাস থেকে মন্ডপের কাজ চলছে।
থার্মকল,ফাইবার,দিয়ে মন্ডপ কে গড়ে তোলা হয়।যদিও এই কোনারক মন্দিরের ভাবনা অগ্রনীসমাজ ক্লাবের কর্তা বিপ্লব দত্তের।ওনার ভাবনা কে বাস্তাবায়িত করার গুরু দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন।আমি সেই প্রচেস্টার কোনো খামতি রাখিনি।বাকিটা আগত দর্শক বিচার করবে।”মন্ডপের সাজসজ্জায় ফুটে উঠেছে কোনারক সূর্য মন্দিরের শিল্পের কারুকার্য।রাস্তার দুধার দিয়ে বড় বড় থাম রাখা হয়েছে,যা পূজোর দর্শকদের থমকে দাড়াতে বাধ্য করবে।এই মন্দির কোনারক সূর্যমন্দির,শিল্পীর দাবি মন্ডপের প্রতি কোনায় তখনকার সমাজের মানুষের জীবনচক্র কে সু-নিপুন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রায় ষাট ফুট উুঁচু এই মন্ডপ,আলোকসজ্জায় আনা হয়েছে অভিনবত্ব। যা এখনই প্রকাশ করা যাবে না।চতুর্থীর বিকেল থেকে দর্শকদের জন্য মন্ডপের দ্বার খুলে দেওয়া হবে। বিপ্লব দও, যিনি এই অগ্রনী সমাজের অভিভাবক তিনি জানান, “এবার এই পূজো ৫০ বছরে পর্দাপন করল,তাই দর্শক কে কিছু বাড়তি আনন্দ দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
মায়ের সাজসজ্জার রয়েছে বিশেষ আর্কষন,অন্য বারের তুলনায় এবার মাকে অন্যন্য সাজে সজ্জিত করা হয়েছে, তবে প্রথা মেনে ডাকের সাজেই মাকে সাজানো হয়েছে। যেমন, সোনার মুকুট, নাকের নথ,সহ সমস্ত অলংকারে নিখুত ভাবে ভূষিত করা আছে।”বিপ্লব বাবু জানান,মায়ের চোখের দিকে আমরা বিশেষ নজর দিই,কারন চোখের আদল এমন ভাবে তৈরী করা হয় যাতে আগত দর্শক মায়ের চোখে দৃষ্টিতে ডুবে যায়,মায়ের চোখ দেখে যেন বোঝা যায় মা দুষ্টের দমন ও শিস্টের পালন করছেন।”প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বাজেট এই পূজোর, চতুর্থীর বিকেলে শুভ উদ্বোধন করবে জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা রাণী রাসমণি খ্যাত দিতিপ্রিয়া রায় ও বাংলা ব্যান্ডের খ্যাতনামা গায়ক পটা।বিপ্লব দত্ত আশাবাদী বরুণ দেবতার সুদৃষ্টি থাকলে পূজোর দিনগুলোতে দর্শকের ভীড় উপচে পড়বে এবং সকলে ‘কোনারক সূর্যমন্দির’ দর্শনের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ পরীর স্বপ্নরাজ্য রায়গঞ্জে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584