শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
মঙ্গলকোট ব্লকের সিঙগত গ্রামীণ হাসপাতাল টি পূর্ব বর্ধমান জেলার সেরা দশটি ব্লক হাসপাতাল এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ হাসপাতাল।এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হাসপাতালের বেড সংখ্যা বাড়ানোর।সরকার পরিবর্তনের পর এলাকাবাসীর দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বাড়ানো হলো বেড সংখ্যা।ছিল ২৫ টি বেড সংখ্যা হয়েছে ৩০ টি।ইতিমধ্যে হাসপাতালে পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটলেও কিন্তু অভাব শুধু চিকিৎসকের।ইতিমধ্যে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্রসূতি মায়েদের বিভাগ খোলা হয়েছে।ইতিমধ্যে বিভাগটি চালু হয়ে গিয়েছে।
প্রসূতি মায়েদের বিভাগটি চালু হলেও কিন্তু অভাব গাইনোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই।
গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার প্রণয় ঘোষ জানিয়েছেন যে হাসপাতালে পরিকাঠামো যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে পরিষেবা কিছুটা ঘাটতি ঘটছে।চিকিৎসকের জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা মুখ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে আবেদন পত্র পাঠানো হয়েছে এখনও সেরকম ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে যে কেন্দ্র সরকারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন অজিত পাঁজা।অজিত পাঁজা মঙ্গলকোটের ভূমিপুত্র।মাঝি গ্রামে তার জন্মস্থান।অজিত পাঁজার তৎপরতায় এবং উদ্যোগে তাদের দান করা জমিতে প্রায় শতাধিক বছর আগে গড়ে উঠেছিল এই গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র। অথচ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছে বিশাল বড় অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে শুরু করে রোগীদের থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু বেড সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরে বাড়েনি অপারেশন থিয়েটার ও ভালোমতো চালু হয়নি।তাই গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে এলাকার মানুষের ক্ষোভ রয়েছে চরমে।
এলাকাবাসীর দাবি হাসপাতালে বেশি সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ করে স্বাস্থ্য পরিষেবার বাড়ানো হোক।আরো জানা গিয়েছে যে হাসপাতালে এক্সরে পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই।
অথচ এই গ্রামীণ হাসপাতালে উপর লক্ষাধিক মানুষ নির্ভরশীল।হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা না পেয়ে অনেকেই বর্ধমান হাসপাতাল অথবা কাটোয়া হাসপাতালে সহ বোলপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটতে হয়।প্রতিদিন আউটডোরে এক হাজার রোগীর যাতায়াত হয়ে থাকে বলে জানা গিয়েছে।এদিকে ডাক্তার সংখ্যা কম থাকায় চাপ বাড়ছে।
এলাকাবাসীর দাবি হাসপাতালে রোগীদের সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা সহ আরো স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি হোক।ডাক্তার নিয়োগ সহ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ করা হোক তাহলে হাসপাতাল ছেড়ে অন্য কোথাও রোগীদের ছুটে যেতে হবে না।পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান অপূর্ব চৌধুরী জানিয়েছেন যে বর্তমানে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।বামেদের আমলে মুখ থুবড়ে পড়েছিল স্বাস্থ্য পরিসেবা তার অনেকটাই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উন্নতি ঘটেছে পরিকাঠামোর শুধুমাত্র অভাব পর্যাপ্ত ডাক্তারের। আশা করা যায় আগামী দিন এই সমস্যা থেকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।বর্তমানে রোগীদের অন্য কোন হাসপাতালে ছুটে যেতে হয় না এমনটাই দাবি অপূর্ব চৌধুরীর।
আরও পড়ুনঃ এবার আয়ুষ্মান কার্ড নিয়ে সরব দিলীপ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584