পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
প্রকাশ্যে মদ্যপান ও সেই মদ্যপদের এক কিশোরকে মারধর। দুই ঘটনার প্রতিবাদ করায় পুলিশের এক মহিলা হোমগার্ড এবং তৃণমূলের বুথ সভাপতির স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল সেই মদ্যপ দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে বীরভূমের সিউড়ি থানার কেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে ।অভিযুক্তরা পলাতক ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সিউড়ি পুলিশ লাইনে কর্তব্যরত মহিলা হোমগার্ড রিনা ডোম তার স্বামী তারক অংকুরের সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে এদিন সকালে তাদের গ্রাম ভগবানবাটি থেকে সিউড়ি আসছিল। অভিযোগ ধনঞ্জয় বাটির কাছে চার দুষ্কৃতি তাদের পথ আটকায় এবং স্বামী ও স্ত্রী কে মারধর শুরু করে। তারা মোটরবাইক ফেলে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছুটে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে।পরে সরাসরি সিউড়ি থানায় এসে তারা অভিযোগ দায়ের করে চারজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। ভগবান বাটি গ্রামের সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত মদের দোকান থেকে মদ কিনে অভিযুক্ত ধনঞ্জয়বাটী গ্রামের চার দুষ্কৃতি গ্রামের রাস্তার পাশে বসে মদ্যপান করছিল। এই সময় ওই চারজন এক কিশোরকে মারধর করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে দিকে যাচ্ছিলেন ভগবান বাটি গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি তারক বাবু। তিনি ওই তাদের রাস্তার পাশে বসে মদ্যপান করতে নিষেধ করেন। পাশাপাশি কিশোর কেন মারধর করা হয়েছে সেটাও জানতে চান। এর পর তিনি ধনঞ্জয়বাটী গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বিষয়টি জানান। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুষ্কৃতিরা তাকে পরে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই অভিযোগ এদিন সকালে স্বামী স্ত্রী দুইজনকেই নির্জন স্থানে পেয়ে আক্রমন করে। আক্রান্ত মহিলা হোমগার্ড রিনা ডোম বলেন হুমকি দেওয়া চার দুষ্কৃতিকে আমরা যখন সিউড়িতে কাজে আসছিলাম পথ আটকে স্বামীকেও আমাকে মারধর করে আমাকে তো রীতিমত শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে পায়ে চোট লেগেছে। ঘটনাস্থলের মোটরবাইক ফেলে পালিয়ে আসি। সিউড়ি থানায় অভিযোগ করেছি। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার কুনাল আগরওয়াল জানান, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584