শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
গত ৩ রা অক্টোবর বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরীতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল কৃষকরা। সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র ওরফে মনু, তাঁর গাড়ির তলায় চাপা পড়ে বিক্ষোভরত চারজন কৃষক মারা যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে আরও হিংসাত্মক হয়ে উঠে এবং আরও চারজন কৃষকের প্রাণ যায়। যদিও তাঁর বাবার দাবি ছিল, ওই ঘটনার সময় তাঁর ছেলে গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না।
তবে এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উত্তর প্রদেশের বিশেষ তদন্তকারী দল(সীট) আদালতে যে রিপোর্ট জমা করেছে তাতে সমস্যা বাড়িয়েছে অজয়ের ছেলে মনুর। আদালতে এই তদন্তকারী দল জানিয়েছেন, “সেই দিনের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল।” এই ঘটনার তদন্তে দায়িত্বরত অফিসার বিদ্যারাম দিবাকর যে রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন, সেখানে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করে বলেছেন, “এটা কোন দূর্ঘটনা নয়। আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এমন কান্ড ঘটানো হয়েছে।” সিজেএম আদালতে বিদ্যারাম লখিমপুর খেরী কান্ডে হত্যা সহ গুরুতর আহত করার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ধারা যুক্ত করার অনুমতি চেয়েছেন। ইতিমধ্যে আদালত এই কান্ডে অভিযুক্ত সমস্ত অপরাধীকে তলব করেছেন আদালতে।
মামলাটি চলছিল ৩০৪ ধারা মেনে। কিন্তু অফিসার বিদ্যারাম আপত্তি তুলে বলেন, “লখিমপুর পুরের ঘটনাটি যেহেতু পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল, সেহেতু ৩০৪ ধারা বাতিল করে ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত করে মামলাটি চালানো হোক। এছাড়াও তিনি ৩২৬, ৩৪, ২৭৯, ৩৩৮ এবং ৩০৪ এর মত ধারা যোগ করার অনুমতি চেয়েছেন আদালতে।
আরও পড়ুনঃ হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে না হওয়ার অভিযোগ, বিয়ের আসরে চলল গুলি, মৃত ১
সম্প্রতি যে ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়া গেছে সেখানেও বলা হয়েছে, সেদিন গুলি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের বন্দুক থেকে ছোঁড়া হয়েছিল। রিপোর্টে আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় আরও একজন অভিযুক্ত, অঙ্কিত দাসের বন্দুক থেকেও সেদিন কৃষকদের উদ্দেশ্যে গুলি ছোঁড়া হয়েছিল। তবে দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে কেস চলছে। এর মধ্যে ৯ অক্টোবর আশিসকে গ্রেফতার করেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তাঁর কয়েকদিন পরেই উদ্ধার হয় সেই বন্দুক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584