পেয়ারা বিক্রি করছেন অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার! ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

0
132

জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদঃ

“যাকে ছবিতে পেয়ারা বিক্রি করতে দেখছেন। তিনি পেয়ারা বিক্রেতা নন, তিনি আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার”… হ্যাঁ এমনই পোস্ট গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। লালবাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকারকে সাধারণ পেয়ারা বিক্রেতার ভূমিকায় দেখে হতবাক হয়েছে অনেকেই।

Lalbag ASP
পেয়ারা বিক্রি করছেন লালবাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র

উল্লেখ্য, পুলিশ মানেই সাধারণ মানুষের কাছে ভয়। অনেক মানুষ আছেন পুলিশ দেখলেই চরম বিরক্ত বোধ করেন। কিন্তু একথা প্রমানিত যে এই পুলিশ প্রশাসন কেবলমাত্র আইন রক্ষা করেন তাই নয় মানবিকতার দিক থেকে সাধারণ মানুষকে অনেক উপকৃত করে থাকেন। লকডাউনে দুঃস্থদের পাশে থাকা কিংবা রক্তের সংকট মেটাতে এগিয়ে আসা এই রকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।

প্রসঙ্গত লালবাগের পুলিশ সুপার তন্ময় সরকারের থাকেন বহরমপুরে। তিনি শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ বহরমপুরের লালদিঘির কাছে বাজার করার উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষের পোষাকে আসেন এবং পেয়ারা ক্রয় করতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে হয়ে গেলেন সাধারণ পেয়ারা বিক্রেতা। প্রায় কুড়ি মিনিট পেয়ারা বিক্রি করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় গতকাল থেকেই সেই পোস্ট ভাইরাল হয়।

আরও পড়ুনঃ বহরমপুরে অনুষ্ঠিত হল গণআন্দোলনের সিপিআইএমের দুজন নেতার স্মরণ সভা

এ বিষয়ে তন্ময় সরকার বলেন, “আমি বহরমপুরে থাকি, গতকাল বাজার করতে গিয়েছিলাম তারপর এক পেয়ারা বিক্রেতা বলেন দাদা দোকানটা একটু দেখেন আমার খুব খিদে পেয়েছে, কিছু খাবার খেয়ে আসছি। যদিও পেয়ারা বিক্রেতা আমাকে চিনতে পারেনি যেহেতু আমি সাধারণ পোশাকে ছিলাম। তারপর দেখি একের পর এক ক্রেতা পেয়ারা কিনতে দোকানে আসছে, তা আমি ভাবলাম তারা ঘুরে যাবে! তাই নিজেই পেয়ারা বিক্রি করতে লাগলাম! ”

তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ভাইরাল। পুলিশের মানবিক মুখ ফুটে উঠল মুর্শিদাবাদ জেলায়। অনেকেই মন্তব্য করে বলেছেন সিনেমাতে এমন ঘটনা দেখতে পায় তবে বাস্তবে! তাও আবার আমাদের জেলাতে পুলিশের এমন মানবিক মুখ দেখে অনেক অনেক গর্ব হচ্ছে। স্যালুট স্যার। আপনি এভাবেই মানুষের পাশে থাকুন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here