পিয়া গুপ্তা,ওয়েবডেস্কঃ
মঙ্গলবার ভূত চতুর্দশীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চৌদ্দ শাক খেয়ে দীনটিকে পালন করবেন।সন্ধ্যায় মৃত পূর্বপুরুষ দের উদ্দ্যেশে চৌদ্দটি প্রদীপ বা “যম প্রদীপ” দেওয়া হয়।আজকের দিন বলা হয় এতে যমরাজ প্রসন্ন হয়ে মৃত ব্যাক্তির আত্মাকে মুক্ত করেন।ভূত চতুর্দশীর পর দিন দীপান্বিতা অমাবস্যা।মহাশক্তি মা কালীর পূজার দিন।আমাদের এই দেহ পঞ্চভূতের সমষ্টি।
আকাশ,ভূমি,জল,অনল,পবন।দেহান্তে শ্মশানে দেহ দাহ হলে এই শরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয়। সুতরাং এই পঞ্চভূতের শরীর কে নশ্বর জ্ঞানে এই দিনটি পবিত্র ভাবে থেকে চৌদ্দ শাক ভক্ষণ করে, সন্ধ্যায় ধর্মরাজের নামে প্রদীপ উৎসর্গ করে পর দিবস মা কালীর উপাসনায় ব্রতী হবার শিক্ষা দেয়। তাই এই দিন ভূত চতুর্দশী নামে খ্যাত। কালীর মূর্তি,অস্ত্র,অনুচরী ডাকিনী ও যোগিনী এবং বাসস্থান ভূত শ্মশান সবই ভয়ানক ভাবের অবতার বিশেষ।কালী-সংক্রান্ত সব কিছুই যেমন ভয়ানক,তেমন আবার কৃষ্ণ সংক্রান্ত সব কিছুই আনন্দপ্রদ।কৃষ্ণের মূর্তি মনোহর।হাতে আনন্দজনক শব্দকর মুরলী,প্রিয়তমা আনন্দরূপিণী রাধিকা,মনোহর বেশধারিণী সখীগণের মধ্যে কেউ বীণা,কেউ বংশী, কেউ রবাব, কেউ মৃদঙ্গ, কেউ বা খঞ্জনী বাজাচ্ছেন। সংক্ষেপে বললে, তাঁরা নৃত্যগীতে মেতে থাকেন, নানা রকম বাদ্যযন্ত্র সুন্দর বাজাতে পারেন এবং সাদা, লাল, নীল, হলুদ প্রভৃতি নানা রঙের সুন্দর বস্ত্র পরে থাকেন।কালীর মূর্তি ও সংগ্রামকর্ম—দুইই ভয়ংকর।কালীপূজার কাল অমাবস্যা তিথি ও ঘনঘোর অন্ধকার রাত।মৃতদেহের উপর বসে, শ্মশানে তাঁর সাধনা করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ বিদেশী রকমারি আলোর জোয়ারে ভাটা পড়েছে মাটির প্রদীপে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584