জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদঃ
দীর্ঘ ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে হাজার হাজার বিঘার বেশি উর্বর কৃষি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদের জীবন্তি অর্থাৎ বিল তেলকরে। চাষ করতে না পেরে বিল সংস্করণের দাবি জানাচ্ছে চাষীরা। প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের বড়ো বিলের মধ্যে অন্যতম কান্দি, নবগ্রাম ও বহরমপুর থানার মধ্যবর্তী বর্ডার বিল তেলকর।
এখানে তিল, সরিষা, পাট, ধান সব্জি থেকে একাধিক ফসল চাষ হয় যা থেকে কৃষকদের সংসার চলে। কিন্তু বিল তেলকরের দক্ষিণ পূর্ব দিকের কান্দি থানার অন্তর্গত প্রায় দুই হাজার বিঘার বেশি চাষের জমিতে বর্ষা সময় থেকে আবর্জনা জমার ফলে গত ছয় বছর ধরে চাষ আবাদ করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
উদয়চাঁদপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, “বর্ষার সময় কচুরিপানার দল ভেসে আসছে কিন্তু সেটা বেরিয়ে যেতে পারছে না কারণ এখানে একটা নালা রয়েছে সেটা বন্ধ হয়ে গেছে, যদি নালাটা ঝালানো যায় তাহলে চাষ করতে পারব। ”
এ প্রসঙ্গে কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি পার্থ প্রতীম সরকার বলেন, “জীবন্তি বিল অর্থাৎ বিল তেলকরে চাষীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এক সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবে কিন্তু তা পালন করেনি। গত ৮ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নির্দেশ দিয়েছে জেলার এই রকম সমস্ত বড়ো বিলগুলি পরিদর্শন করে মাছ কিংবা কৃষি চাষাবাদের জন্য জল প্রবেশ এবং নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা। পঞ্চায়েত কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির অর্থের অভাবে করতে পারা সম্ভব নয়। আমি মাননীয় জেলা শাসক এবং জেলা পরিষদের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে করে জীবন্তি বিল পরিদর্শন করে, চাষাবাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।”
আরও পড়ুনঃ ‘চোখের আলো’ প্রকল্পে বিনামূল্যে চশমা বিতরণ করল কান্দি পৌরসভা
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বহরমপুর লোকসভার সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী শিলান্যাস করে বলেছিলেন যে, কেবলমাত্র ধান চাষ নয়, তার সঙ্গে আখ চাষ করিয়ে চাষীদের মুখে হাসি ফোটাব। এ প্রসঙ্গে মহলন্দী ২ অঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান হাসান মন্ডল বলেন, “আমি অধীরের সাহায্যে চেষ্টা করেছিলাম নদী সংস্কার এবং একটি সুইচ গেট করে চাষিদের সুবিধা করে দিতে নদী সংস্করণ কিছুটা হলেও সুইচগেটটা এখনো হয়নি। তবে বর্তমানে যারাই ক্ষমতায় থাকুক তাদের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে করে জল নিয়ন্ত্রণ করে বিল তেলকরে চাষাবাদ করা যায়।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584