মরণফাঁদ! বীরভূমের মোহাম্মদবাজারের দ্বারকা নদের ওপর সেতুতে বড় ফাটল

0
110

পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ

জাতীয় সড়কের পর এবার বেহালদশা জাতীয় সড়কের ওপর অবস্থিত একাধিক সেতুর। সেতুর ওপর মরণফাঁদ। মরণ ছাদের ওপর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাস-ট্রাক থেকে ছোট গাড়ি। বীরভূমের মোহাম্মদবাজার থানার ডেউচা গ্রামের নিকট দ্বারকা নদের ওপর সেতুতে দেখা গেল বড় ফাটল।

cleft | newsfront.co
ফাটল। নিজস্ব চিত্র

ফাটল বলা ভুল হবে কার্যত বড় গর্ত। সেতুর ওপর থেকে গর্তের মধ্য দিয়ে দেখা যাচ্ছে নদীর জল। গত এক বছর আগে এই সেতুর ওপরে ঠিক একই রকমের একটি ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেই সময় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি সেতুর মেরামত করেছিল। কিন্তু দায়সারা ভাবে মেরামতির কাজ হয়েছিল বলে এক বছরের মধ্যে আবার সেতুতে বড়োসড়ো গর্ত দেখা গেল। স্থানীয় বাসিন্দা শুভ্রাংশু চৌধুরী বলেন, সেতু পারাপারের সময় অত্যন্ত আশঙ্কায় থাকি।

আরও পড়ুনঃ অনশনে বসল মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন কলেজের অস্থায়ী কর্মচারীরা

যেকোন সময় সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে। প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হয় সেতুটির উপর দিয়ে। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে নিশিকান্ত সিং জানিয়েছেন, আজ রাতেই সেতুটির মধ্যে যে গর্ত হয়েছে তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সারিয়ে তোলা হবে। সেতুর ওপরে যে জায়গাটি গর্ত হয়েছে সেটি পুলিশ ইতিমধ্যে ঘিরে দিয়েছে। যাত্রী বোঝাই বাস সেতুর একপ্রান্তে যাত্রীদের নামিয়ে, ফাঁকা বাস পার করে নিয়ে, ফের সেতুর অপর প্রান্তে যাত্রীদের বাসে চাপিয়ে গন্তব্যস্থলে রওনা দিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ মেলা চালুর দাবিতে ডেপুটেশন বালুরঘাটে

আপাতত ভারী ট্রাক যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। জাতীয় সড়কের দুর্দশার কথা ইতিমধ্যে সংসদে বলেছেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দি রায়। তিনি জানান, সংসদে তিনি বারবার সরব হয়েছেন রানীগঞ্জ – মোরগ্রাম ১৪ নং জাতীয় সড়ক এবং সড়কের উপর অবস্থিত একাধিক সেতুর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ বলে।

যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। প্রাণ যেতে পারে প্রচুর মানুষের। একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here