পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
কলকাতা উচ্চ আদালতের অনুমতি পেয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রেজাউল করিমের।শনিবার সিউড়ির জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কার্যালয়ে বীরভূম জেলা বামফ্রন্টের নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে রেজাউল বাবু তার প্রার্থীপদ দাখিল করেন।
বীরভূম কেন্দ্রের সিপিএমের ঘোষিত প্রার্থী চিকিৎসক রেজাউল করিম গত শুক্রবার তিনি কলকাতা উচ্চ আদালতের অনুমতি পেয়েছে নির্বাচনে লড়াই করার।এদিন তিনি নলহাটির ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক দীপক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বামফ্রন্ট নেতৃত্বের সঙ্গে জেলাশাসকের কার্যালয়ে আসেন।সেখানে তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।রেজাউল বাবু তার কর্মজীবন থেকে অব্যাহতি চেয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর কে দীর্ঘদিন আগেই বিদায় জানিয়েছিলেন কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তর তাকে চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেওয়ার অনুমতি দেয়নি।ইতিমধ্যেই বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তার নাম ঘোষণা করা হয়।একদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের স্বেচ্ছা অবসর থেকে বাধা তাই বাধ্য হয়ে তিনি কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন এবং আদালতের কাছ থেকে তিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়ে যান। ডঃ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, তাদের মূল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলো বিজেপি। তারা উগ্র ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট দল।তাই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই সব থেকে বেশি। পাশাপাশি তিনি তৃণমূলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসাবে মেনে নিয়েছেন।বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রেজাউল করিম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষে আরো বলেন, “বেশ কিছু হোমরা-চোমরা নেতা রয়েছেন,যারা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভয়ঙ্কর রূপে শব্দ সন্ত্রাস করে নিরীহ ভোটারদেরকে ভয় দেখিয়ে ভোটদানে বিরত থাকতে বলছেন,নির্বাচন কমিশনের সে বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।যে সব নেতারা শব্দ সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভয়ের আবহ তৈরি করে,তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারের প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুকুল
বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনে চতুর্মুখী লড়াই দেখা যাবে বলে মনে করা হলেও বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মাটি যে খুব শক্ত নয় তা স্বীকার করছেন অনেকেই।তবে সংগঠন মজবুত করতে নিজেদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন লাল শিবির।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584