হনুমানের জাত বিচার নিয়ে বাজারে একটি চালু মোটা দাগের রসিকতা প্রচলিত আছে।কিন্তু বর্তমান জাতীয় রাজনীতিতে হনুমানের জাত বিচার আলোচনার কেন্দ্রে।বর্তমান ভারতীয় রাজনীতিতে মনুষ্যেতর প্রাণী বেশ কদর পাচ্ছে।কখনও গরু কখনও হনু।আর তার চাপে নিদারুণ উপেক্ষিত মানুষ।মানুষ নিয়ে ভাবার আর কিবা আছে।চারিদিকে বিকাশ আর উন্নয়নের জোয়ারে মানুষের চাওয়ার আর কিবা বাকি আছে?এবার রাজনীতির পরিচালকরা তাই গরু থেকে হনু সর্বত্র বিকাশ ছড়িয়ে দিতে কি তৎপর।আলোচনা প্রসঙ্গেই উঠছে প্রশ্ন, উন্নয়নের আলোয় বলুন কিম্বা বিকাশের উজ্জ্বলতা সবই তো ভোট কেন্দ্রিক তবে কি গরু হনুমানরাও এবার লাইন দেবে ভোটে দেওয়ার জন্য? অবশ্য এ দেশে অবিশ্বাসের কিছুই নেই।অদূর ভবিষ্যতে হয়ত দেখা যাবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষ; মনুষ্যেতর প্রাণী সকলে গণতন্ত্র রক্ষার্থে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে বোতাম টিপে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করছে।এমনিতেই গরুর আধারকার্ডের প্রচলন হয়ে গেছে।
এই নিদারুন উপহাসের আড়ালে এক অন্য ভারত আছে।যাদের ঘামে রক্তে আপামর জনসাধারণের সাথে সাথে উন্নয়নের ধ্বজাধারী বিকাশপুরুষদের মুখেও অন্ন ওঠে।আজ তারা হাঁটছে।
তাদের মাতৃসম চাষের জমি ছেড়ে।তার শহরের পিচ রাস্তায় হাঁটছে।কারন তারা নিরন্ন।উদয়স্ত পরিশ্রম করে তাদের উৎপাদিত ফসল থেকে পরিশ্রমের মূল্য চুরি করে মুনাফা লুটে নেয় অন্য কেউ।তাদের নিজস্ব পাওনা বুঝে নিতে,নরম মাটিতে হাঁটা পা গুলো আজ দিল্লীর রাজপথে পা মিলিয়েছে।
মন্দির নয় তারা রুটি চায়।বুঝে নিতে চায় হিসাব, কি করে তাঁদের কাছে থেকে পাঁচ টাকায় কেনা টমেটো বাজারে ত্রিশ টাকায় বিক্রি হয়?
অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়ে,হনুর জাত বিচারে বা গরুর মাতৃত্ব নিয়ে চর্চা করে যখন রাজনীতি সরগরম করতে চাইছে দেশ পরিচালকরা।তখন এদেশের মাটিকে পরম মমতায় গবাদি পশুকে সন্তানসম ভালোবাসায় রুক্ষ্ম মাটিতে সোনার ফসল উৎপাদন করা সেই আমাদের দেশ গড়ার কারিগররা আজ তাদের কৃষিভূমি ছেড়ে হালের বলদ ছেড়ে পরিবার ছেড়ে রাজপথে।
বিকাশ পুরুষ উন্নয়নের ধ্বজাধারীরা এখনও যদি হিসাব কষেন উন্নয়নের পরিসংখ্যান নিয়ে,তবে হিসাবে দুর্বল ছাত্রদের শিক্ষক যেমন কান ধরে অঙ্ক শেখায় তেমন দিন আগতপ্রায়।
©Newsfront
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584